আহমেদ সানি, জবি থেকে: স্নাতকোত্তর শেষ করার আগেই ১৬তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে সহকারী জজ হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাতুল সবুজ, আবির ঘোষ হৃদয় এবং মিনারা জাহান।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, মেধা তালিকায় থাকা ৯৯তম থেকে ১০৪তম পরীক্ষার্থীরা একই নম্বর অর্জন করেছে। এজন্য ১০০ জন চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও চারজনসহ মোট ১০৪ জনকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে।
উত্তীর্ণ জবি শিক্ষার্থীরা হলেন, আইন বিভাগের রাখেস হাসান সুজন, অমাল কুমার দাস, মোহাম্মদ হোসাইন জামি, সাজ্জাতুল সবুজ, ফাতেমা জামান চৈতি, জৈতি মুসতারি, আবির ঘোষ রিদয়, মিনিরা জাহান, আমিনুল ইসলাম খান, সুমন হোসাইন এবং সোহেল আহমেদ।
সুপারিশপ্রাপ্ত আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সবুজ হোসেন জানান, আমার এই অর্জনের পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে। বিশেষ করে আমার মা, বড় ভাই এবং শিক্ষকদের। তাদের সহযোগিতা ছাড়া হয়তো এটা সম্ভব ছিল না। আমি যেন জনগণের জন্য ন্যায় বিচার ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করতে পারি সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
আবির ঘোষ হৃদয় উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, জীবনের প্রথম বার বিজেএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। প্রথমবারেই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের।সবার প্রথমেই মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার এই অর্জন আমি আমার বাবা,মা এবং আমার শিক্ষকদের উৎর্সগ করতে চাই।কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার অগ্রজ, সহপাঠী এবং অনুজ এবং অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি। আমি সহ আমাদের ১০ম ব্যাচের ৩জন এবং আইন বিভাগ থেকে সর্বমোট ১১ জন সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে।যেটা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বাধিক।এতে অন্য শিক্ষার্থীরাও অনুপ্রাণিত হবে বলে মনে করছি।সর্বোপরি আইন বিভাগের সাফল্যের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।
উচ্ছাস প্রকাশ করে মিনারা জাহান বলেন, এ জার্নির শুরুটা খুব এলোমেলোভাবেই হয়।হঠাৎ করে সার্কুলার আসায়, বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি করবো। একসাথে একাডেমিক ও জবের প্রস্তুতি কিভাবে নিবো এই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে ছিলাম। পরবর্তীতে সম্মানিত শিক্ষক ও কয়েকজন সিনিয়র ভাই বোনের পরামর্শে দুটোই ব্যালেন্স করে চালানোর চেষ্টা করি। আমার মনেহয় আমার অনার্সের পড়াশোনাটা কাজে দিয়েছে, সেইসাথে গুরুজনদের আশীর্বাদ আর আল্লাহর রহমত সবমিলিয়ে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত হই। এ প্রাপ্তির অনুভূতি আসলে বলে বোঝানো যাবেনা, যখন দেখি, আনন্দে গর্বে আমার বাবা মায়ের মুখটা কিরকম উজ্জ্বল হয়ে গেছে ,তখন মনেহয় আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।
উল্লেখ, এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বাধিক এগারো শিক্ষার্থী ১৬তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএসসি) নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে সহকারী জজ পদে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর