দ্বাদশ নির্বাচনের আগে বিএনপিকে কোন ভাবেই উঠে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে চায় না ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
শনিবার ( ২৮ অক্টোবর) সংঘাতের পর বিএনপি আবারও ঘুরে দাঁড়ালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্নে করা যাবে না, বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকেরা। আর সে কারনেই আ. লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একত্রে কঠোরভাবে বিএনপিকে চাপ প্রয়োগ করবেন।
এছাড়া বিএনপির তিন দিনের অবরোধের যে কর্মসূচি দিয়েছে, তার প্রতিবাদে সারাদেশে আওয়ামী লীগও ওই তিন দিন ‘শান্তি মিছিল’ করবে এবং কেন্দ্র থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত দলের সব কার্যালয়ে সতর্ক পাহারা থাকবে বলেও জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা পাড়া–মহল্লায় ‘পাহারা’ জোরদার করবেন। যাতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হরতাল-অবরোধ সফল করার জন্য রাস্তায় নামতে না পারেন। পাশাপাশি ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কিছু বড় সমাবেশ করবেন দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা ।
ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতারাই মনে করছেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার, কর্মীদের ঘরে তোলা এবং দলে ভাঙ্গন সৃষ্টি করতে পারলে আশঙ্কা কেটে যাবে। তখন ভোটাররাও আশ্বস্ত হবেন। আওয়ামী প্রার্থীরাও রাজপথের চেয়ে ভোটের মাঠে বেশি সময় দিতে পারবেন বলে মনে করেন।
এর আগে, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে সংঘাত ও পুলিশের মৃত্যুর ঘটনার পর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার শুরু হয়। রোববার (২৯ অক্টোবর) দিনভর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গিয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, বিএনপি আর রাজপথের শক্তি দেখাতে পারবে না। বিদেশি যেসব শক্তির ওপর বিএনপির ভরসা ছিল, তারা কী করে, সেটা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে মধ্যম ও নিচু সারির নেতাদের মধ্যেও স্বস্তির ভাব দেখা যায়।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা মনে করেন, বিএনপির সাম্প্রতিক সমাবেশ, এতে বিপুল মানুষের জমায়েত এবং ২৮ অক্টোবর কী হবে—এ ধরনের আতঙ্ক ছিল চারদিকে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও কখনো কখনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা গেছে। সামনের দিনগুলোতে বিএনপিকে মাঠছাড়া করে এই আতঙ্ক দূর করাই লক্ষ্য এখন আওয়ামী লীগের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীদের মধ্যে আতঙ্কের কারণে নির্বাচনমুখী পরিবেশ তৈরি হচ্ছিল না। বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি চাপা দেওয়া গেলে দেশে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা যাবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বেশিসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সে ক্ষেত্রে স্বস্তির পরিবেশ দরকার।
মোঃ লিখন আলী// বিডি২৪ লাইভ ডেক্স
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর