রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) মেডিকেল সেন্টারের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকার মেয়েকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর তালাইমারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগীর মা ওই চিকিৎসকের নাম নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের ডা: মো: রাজু আহম্মেদ (৪৫) হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের উপ-প্রধান চিকিৎসক। তিনি নাটোর জেলার নজরুল ইসলামের ছেলে। ভুক্তভোগী হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোসা: সাবিনা ইয়াসমীন এর মেয়ে মোস: আয়েশা সিদ্দিকা মাফি (১৩)।
মামলার এজহারে ওই শিক্ষিকা বলেন, গতকাল ৭টায় বোয়ালিয়া তালাইমারী আমেনা ক্লিনিকের নীচতলায় রাজুর চেম্বারে দাঁতের চিকিৎসার জন্য আমার মেয়েকে নিয়ে যাই। এসময় অনুমান সাড়ে ৮টায় আমার মোবাইল ফোনে কল আসলে কথা বলার জন্য রাজুর চেম্বার থেকে বাইরে যাই আমি। এমতাবস্থায় বিবাদী আমার মেয়েকে চিকিৎসার জন্য তার কাছে নিয়ে দাঁতের চিকিৎসা করা কালে ডেন্টাল চেয়ারে শোয়া অবস্থায় আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়।
এজহারে আরো বলা হয়, আমার মেয়ে এতে বিব্রত বোধ করলে বিবাদী আমার মেয়ের কোনরূপ কথা না শুনে পুনরায় বিবাদী তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে আমার মেয়ের জামার ভিতর দিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এতে আমার মেয়ে ভয়ে চিৎকার করে উঠে। আমি ভিতরে প্রবেশ করলে আমার মেয়েকে কান্নারত অবস্থায় পাই এবং আমার মেয়ের মুখে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত শুনে তার নামে থানায় এজহার দায়ের করছি।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ডেকেছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাজুর মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগীর মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোসা: সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, আমার মেয়ের সাথে যা হয়েছে তা যেন অন্য কোনো মেয়ের সাথে মা ঘটে। এ ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করেছি বোয়ালিয়া থানায়।
বোয়ালিয়া থানার পরিদর্শক সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়ের করছেন। আইন অনুযায়ী আমরা আমাদের কাজ করছি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর