সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ স্লোগানকে ধারণ করে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রজাপতি মেলা-২০২৩। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার আয়োজনে দিনব্যাপী এই মেলায় দর্শণার্থীদের দারুণ উপস্থিতি। ছিল শিশু-কিশোরের অংশ গ্রহনে চিত্রাঙ্গন, প্রজাপতির ছবি প্রদর্শনসহ নানা আয়োজন।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দিনব্যাপী এই মেলার প্রজাপতি ও বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম।
মেলার আহ্বায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, প্রজাপতি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং প্রজাপতি সংরক্ষণ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর এই মেলা আয়োজিত হয়ে আসছে।
বন্যপ্রাণী ও প্রজাপতি সংরক্ষণে সার্বিক অবদানের জন্য এবারের প্রজাপতি মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামকে বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জহির রায়হানকে বাটারফ্লাই ইয়াং ইনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
সেই সাথে এবারই প্রথম প্রিন্ট, ডিজিটাল ও ব্রডকাস্ট ক্যাটাগরিতে বাটারফ্লাই মিডিয়া আওয়ার্ড প্রদান করেন। এতে ব্রডকাস্ট ক্যটাগরিতে সাভারের যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মাহফুজুর রহমান নিপুকে প্রদান করা হয় বাটারফ্লাই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড।
দিনব্যাপী এ মেলায় ছিলো র্যালি, প্রজাপতির গল্পে পাপেট শো, শিশু-কিশোরদের জন্য প্রজাপতি বিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা এবং প্রজাপতি ও প্রকৃতি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা। আরও ছিলো প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রজাপতি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির হাট দর্শন, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, প্রজাপতি সম্পর্কিত বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা ও প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী।
মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতি সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতা এবং প্রকৃতিতে প্রজাপতির গুরুত্ব সম্পর্কে জানানোর জন্য আমরা এই মেলার আয়োজন করে থাকি। প্রজাপতি প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। প্রজাপতি টিকে থাকলে প্রকৃতি সুন্দর থাকবে। ইকোসিস্টেম ও ফুড চেইনে প্রজাপতির যেই অবদান সেই সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হলেই আমাদের আয়োজন সার্থক হবে।
তিনি জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১০ প্রজাতির প্রজাপতি ছিল। তবে সেই সংখ্যা বর্তমানে অনেক কমেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৫৭ প্রজাতির প্রজাপতি পাওয়া যায়। প্রজাপতির বংশবিস্তারের জন্য অনুকূল ঝোপঝাড় কমে যাওয়ায় প্রজাপতির সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে কমছে। তবে আশার ব্যাপার হলো যে, বনাঞ্চল থেকে বেশ কয়েক প্রজাতির প্রজাপতি জাহাঙ্গীরনগরে এসেছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর