
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অতিক্রম বা কতিপয় নিষিদ্ধ কার্যক্রম গ্রহণ করলে অন্যূন ২(দুই) বছর ও অনধিক ৭(সাত) বছরের কারাদণ্ডে এবং অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হবে প্রার্থীরা। একই সাথে নির্বাচনি ব্যয়ের উৎসও জানাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রবিবার ( ২৬ নভেম্বর) ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত জারীকৃত পরিপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, কমিশন নির্বাচনি ব্যয়ের জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।এছাড়া ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০টাকা। তবে কোন উৎস থেকে কি উপায়ে নির্বাচন ব্যয় করবে তা জানাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।এছাড়া নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ব্যয়ের হিসেবও দিতে হবে এখানে (ইসি)।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রার্থী ইসি নির্ধারিত পরিমাণের অধিক নির্বাচনি খরচ করলে তা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের লঙ্ঘন হবে। নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহের জন্য সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিল না করলে অথবা নির্বাচনি ব্যয়ের রিটার্ন ফলাফল প্রকাশের ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে না করলে বা এ সংক্রান্ত নিয়মাবলী পরিপালন না করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে।
এছাড়া দাখিলকৃত বিবরণীতে বর্ণিত উৎস ব্যতীত অন্য কোনো উৎস থেকে নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহ করলে বা নির্বাচনি এজেন্ট ব্যতীত অন্য কারও মাধ্যমে অর্থ খরচ করলে, নির্বাচনি ব্যয়ের সীমা অতিক্রম বা কতিপয় নিষিদ্ধ কার্যক্রম গ্রহণ করলে অন্যূন ২(দুই) বছর ও অনধিক ৭(সাত) বছরের কারাদণ্ডে এবং অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারে।
এদিকে নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহের লক্ষ্যে সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী ও ব্যয়ের রিটার্ন দাখিল না করলে অথবা এ সংক্রান্ত বিধি-বিধান পরিপালন না করলে দুর্নীতিমূলক অপরাধ বলে গণ্য হবে। এজন্য অন্যূন ২(দুই) বছর ও অনধিক ৭(সাত) বছরের কারাদন্ড এবং অর্থ দণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারে।
নির্দেশনায় প্রার্থীদের ব্যয়ের উৎসও বেঁধে দিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে নিজ আয় থেকে যে অর্থের সংস্থান করা হবে এবং ওই আয়ের উৎস;
নিজ আত্মীয়-স্বজনের থেকে ঋণ গ্রহণ করা বা তাদের স্বেচ্ছায় প্রদত্ত দান বাবদ প্রাপ্য সম্ভাব্য অর্থ এবং তাদের আয়ের উৎস; কোনো ব্যক্তির কাছ থকে ঋণ গ্রহণ করা বা স্বেচ্ছায় প্রদত্ত দান বাবদ প্রাপ্ত অর্থ; কোনো প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল অথবা অন্য কোনো সংস্থা থেকে স্বেচ্ছা প্রদত্ত দান বাবদ প্রাপ্য সম্ভাব্য অর্থ; অন্য কোনো উৎস থেকে প্রাপ্য সম্ভাব্য অর্থের বিবরণী দিতে হবে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রবিবার)।
সর্বশেষ খবর