
২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে রবিবার( ২৬ নভেম্বর)। ফরিদপুরের নগরকান্দা সরকারি কলেজের এইচএসসির ফলাফলে চরম বিপর্যয় ঘটেছে। তবে এ ফলাফলে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীরা।
জানা যায়, ব্যবসা শিক্ষা শাখায় কৃতকার্য ৩১ জন, অকৃতকার্য ১১ জন। মানবিক শাখায় কৃতকার্য ২১২ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ২৫১ জন এবং বিজ্ঞান শাখায় কৃতকার্য ৯ জন, অকৃতকার্য ১ জন। মোট কৃতকার্য ২৫২ জন এবং মোট অকৃতকার্য হয়েছে ২৬৩ জন। ৩ বিভাগে গড় পাশের হার ৪৮.৯ %।
এবিষয়ে সরকারি নগরকান্দা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম রবিউল ইসলাম বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমি এখানে এসেছি এখোনও এক বছর পূর্ণ হয়নি। আমার কাছে মনে হচ্ছিলো শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় ভীষণ অমনোযোগি ছিলো এবং কলেজে উপস্থিতি ও কম ছিলো। প্রতি বছর সরকারি মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমীতে পরীক্ষা হলেও এ বছর পরীক্ষা হয়েছে নগরকান্দা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টিটিসি)। এখানে সম্পূর্ণ নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে অর্থাৎ যেভাবে পরীক্ষা নেওয়া উচিৎ ঠিক সেভাবেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এতে এক বছর ফলাফল বিপর্যয় হলেও আগামীতে শিক্ষার্থীরা ভালো করে পড়াশোনা করেই পরীক্ষার হলে যাবে। ঠিকমত পড়াশোনা না করে নকল করে পাশ করার চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসবে। আগামীবছর গুলোতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে আজকের এই বিপর্যয় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি।
১৯৭২ সালে ৫ একর ৫৯ শতাংশ জায়গার ওপর স্থাপিত হয় নগরকান্দা মহাবিদ্যালয় কলেজ। দীর্ঘদিন নগরকান্দা-সালথা উপজেলায় উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিলো কলেজটি। ১৯৯০ সালে কলেজটিতে ডিগ্রি শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। সাবেক সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালের ১১ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ হয়। তবে জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকেই বিশৃঙ্খলা শুরু হয় কলেজটিতে। শুরু হয় নামিদামি কলেজে শিক্ষকগণের বদলির তোড়জোড়। ভেঙ্গে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান।
সর্বশেষ খবর