
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২০ আসন ধামরাইয়ে মনোনয়ন জমা দিতে এসে আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র ও জাপার প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীর কাছে মনোনয়ন জমা দেন প্রার্থীরা।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে আসবেন। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না।
দুপুর দেড়টার দিকে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বেনজির আহমদ। তার সঙ্গে মিছিল করে উপজেলা পরিষদের ভেতরে আসেন প্রায় ৩০০-৪০০ অনুসারী। তারা উপজেলা পরিষদের ভেতরে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ১০-১৫ জন নেতাকর্মীসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে ঢুকে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। সেখান থেকে বের হওয়ার পরও তার অনুসারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে মনোনয়ন জমা দেন ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাদ্দেছ হোসেন। এর আগে সকাল থেকেই উপজেলা পরিষদের অদূরে যাত্রাবাড়ী খেলার মাঠে কয়েকশ নেতাকর্মীর জমায়েত করা হয়। প্রায় ৫০০ অনুসারীসহ মিছিল নিয়ে তিনি উপজেলা পরিষদে ঢোকেন। তার অনুসারীরাও বিভিন্ন স্লোগান দেন।
দুপুর দুইটার দিকে জাতীয় পার্টির (জিএম কাদের) খান মোহাম্মদ ইসরাফিল প্রায় ৫০জন অনুসারীসহ উপজেলা পরিষদে এসে মনোনয়ন জমা দেন। তার অনুসারীরাও বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এছাড়া নিজের গুটিকয়েক অনুসারী ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মনোনয়ন জমা দেন ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মালেক। একাই এসে মনোনয়ন জমা দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. মিনহাজ উদ্দিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মনোনীত প্রার্থী রেবেকা সুলতানা।
এবিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী জানান, মনোনয়নপত্র জমার শেষদিনে সর্বশেষ সময় পর্যন্ত ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি স্বচক্ষে দেখি নাই। আমি কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সর্বশেষ খবর