বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের বিষয়ে রুল শুনানি পেছানোর আবেদন করায় প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার নির্ধারিত দিনে তাঁর পক্ষে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের বেঞ্চে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন আইনজীবী ওয়ালী উদ্দিন।
তিনি মির্জা ফখরুলের আইনজীবীদের ব্যস্ততার কারণ উল্লেখ করে রুল শুনানি এক সপ্তাহ পেছাতে সময় আবেদন করেন। বলেন, ‘প্রে ফর নট দিস উইক’। তখন আদালত বলেন, জামিন শুনানি আগে এত জরুরি ছিল, এখন পেছাতে এসেছেন কেন? পরে আদালত ‘শুনানি এই সপ্তাহে না’ বলে আদেশ দেন বলে জানান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডাকে বিএনপি। ২০ শর্তে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। ওই দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারা দেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
ওইদিন ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে জামিন আবেদন করেন মির্জা ফখরুল। কিন্তু আবেদনটি নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এরপর গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর করলে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। গত ৪ ডিসেম্বর আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে। পরে ৭ ডিসেম্বর শুনানির পর তাঁর জামিন প্রশ্নে রুল দেন হাইকোর্ট।
এক সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুলের আইনজীবী রুল শুনানি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আদালত তা কার্যতালিকায় রাখার কথা বলেন। সে ধারাবাহিকতায় তা গত ১৭ ডিসেম্বর আদালতের কার্যতালিকায় উঠলে আদালদত আজ ৩ জানুয়ারি শুনানির তারিখ রেখেছিলেন।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর