• ঢাকা
  • ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ২৫ সেকেন্ড পূর্বে
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৪:৪৮ দুপুর
bd24live style=

৩ মেয়ে হারানো এক ফিলিস্তিনি বাবার আর্তনাদ- ‘আমাকে বাবা ডাকবে কে?’

সংগ্রহীত ছবি

ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। বর্বর এই হামলায় ২৯ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে বহু ফিলিস্তিনি পরিবার। অন্য অনেকের মতো আহমেদ আল-গুফেরি নামে এক ফিলিস্তিনিও তার পুরো পরিবারকে হারিয়েছেন।

ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন তার ১০৩ জন স্বজন। নিহত হয়েছেন তার স্ত্রীও। ইসরাইলি আগ্রাসন কেড়ে নিয়েছে তার তিন মেয়ে সন্তানের প্রাণও। সন্তানদের হারিয়ে ফিলিস্তিনি এই বাবার প্রশ্ন, কে তাকে বাবা বলে ডাকবে?

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর নিক্ষেপ করা বোমা আহমেদ আল-গুফেরির পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গাজা সিটিতে তাদের পরিবারের বাড়িতে ইসরাইলি হামলায় ১০৩ জন আত্মীয় নিহত হলেও আহমেদ ৫০ মাইল (৮০ কিলোমিটার) দূরে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরে আটকা পড়েছিলেন। আর এতেই তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যখন ইসরাইল আক্রমণ করে তখন আহমেদ তেল আবিবের একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করছিলেন। সেই হামলার জেরে পরবর্তীতে সৃষ্ট যুদ্ধ এবং ইসরাইলের সামরিক অবরোধের কারণে তিনি তার স্ত্রী এবং তিন কন্যার কাছে ফিরে যেতে পারেননি।

তবে তিনি প্রতিদিন একই সময়ে তার স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতেন। মূলত যখন ফোন সংযোগ চালুর অনুমতি দেওয়া হতো তখনই কথা বলতেন তিনি। আর গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হামলার সময় তিনি তার স্ত্রী শিরিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন।

আহমেদ আল-গুফেরি বলছেন, ‘সে (শিরিন) জানত যে, সে মারা যাবে। সে আমাকে বলেছিল, সে যদি আমার সঙ্গে খারাপ কিছু করে থাকে তাহলে তাকে যেন ক্ষমা করে দিই। আমি তাকে বলেছিলাম, এমন কথা বলার দরকার নেই। এবং এটিই ছিল আমাদের শেষবার ফোনে কথা বলা।’

সেই সন্ধ্যায় তার মামার বাড়িতে ইসরাইলি বাহিনীর বোমা হামলায় আহমেদ আল-গুফেরি স্ত্রী এবং তার তিন কন্যা - তালা, লানা এবং নাজলা নিহত হয়। একইসঙ্গে সেই হামলায় আহমেদের মা, তার চার ভাই এবং তাদের পরিবার, সেইসাথে তার কয়েক ডজন খালা, চাচা এবং চাচাত ভাইও নিহত হয়। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা শতাধিক।

সেই হামলার পর দুই মাস পার হয়ে গেলেও ধ্বংসস্তূপের নিচে তাদের কয়েকজনের লাশ এখনো আটকে আছে।

বিবিসি বলছে, গত সপ্তাহে ছিল আহমেদের ছোট মেয়ের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে নাজলার বয়স এসময় দুই বছর হয়ে যেত। স্ত্রী-সন্তানদের চলে যাওয়ার পর দুই মাস পার হলেও আহমেদ এখনও বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি।

নিজের সন্তানদের মৃতদেহ হাতে ধরতে না পেরে বা তাদের সমাধিস্থ করতে না পারা আহমেদ এখনো এমন ভাবে কথা বলেন, যেন তারা বেঁচে আছেন। এসময় অশ্রুতে যেন তার চোখ-মুখ স্থির হয়ে যায়।

আহমেদ আল-গুফেরি বলছেন, ‘আমার মেয়েরা আমার কাছে ছোট পাখির মতো। আমার মনে হচ্ছে আমি স্বপ্নের মধ্যে আছি। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না, আমাদের কী হয়েছে।’

তিনি তার ফোন এবং ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে মেয়েদের ছবি সরিয়ে দিয়েছেন, যাতে তাদের ছবি দেখে তিনি চমকে না ওঠেন। হামলায় বেঁচে থাকা কয়েকজন আত্মীয় এবং প্রতিবেশীর কাছ থেকে তিনি সেই দিনের ঘটনার বিবরণ পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

তারা তাকে বলেছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমে তার পরিবারের বাড়ির প্রবেশপথে আঘাত করে। তিনি বলেন, ‘এরপর তারা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পাশেই আমার মামার বাড়িতে গেল। পনের মিনিট পরে, ওই বাড়িতে বিমান হামলা হয়।’

এই বাড়িতেই বিমান হামলা চালিয়ে আহমদের পরিবারকে হত্যা করা হয়

গাজা শহরের জেইতুন এলাকায় সাহাবা মেডিকেল সেন্টারের কোনে চার তলা ভবনটিতে হামলা চালিয়ে ওই পরিবারটিকে হত্যা করা হয়েছিল। হামলার পর এখন সেটি কেবলই কংক্রিটের একটি ঢিবি আর ধুলোময় পোশাকের টুকরো দেখা যায়।

আহমেদের জীবিত আত্মীয়দের একজন হামিদ আল-গুফেরি। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, হামলা শুরু হওয়ার পর যারা পাহাড়ে পালিয়ে গিয়েছিল, তারাই সেদিন বেঁচে গিয়েছিল। আর যারা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল তারা নিহত হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘হামলায় চারদিকে আগুন লেগে গিয়েছিল। আমাদের পাশের চারটি বাড়িতে হামলা হয়েছে। প্রতি ১০ মিনিটে তারা একটি করে বাড়িতে হামলা করছিল সেদিন। আমাদের সন্তান এবং আত্মীয়সহ গুফেরি পরিবারের ১১০ জন লোক সেখানে ছিল। তাদের মধ্যে গুটিকয়েক ব্যতীত সবাইকে হত্যা করা হয়েছে।’

আহমেদ আল-গুফেরি বলেন, গাজায় আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। তার ভাষায়, ‘আমি কার জন্য ফিরে যাব? কে আমাকে বাবা বলে ডাকবে? কে আমাকে প্রিয়তম বলে ডাকবে? আমার স্ত্রী প্রায়ই আমাকে বলতেন, তার কাছে আমিই ছিলাম তার জীবন। এখন আমাকে কে এগুলো বলবে?’

বাঁধন/সিইচা/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:


BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ [email protected]