ব্যক্তিগত আক্রোশে স্নাতকোত্তরে নম্বর কম দেওয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রাজধানীর একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুটো পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাবি।
গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সোমবার (৪ মার্চ) বিষয়টি এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, যৌন হয়রানির ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান এবং সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ। এই কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহম্মদ এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরি। এই কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম নম্বর দেয়াড় অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একটি ব্যাচের ২৮ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরীক্ষার ফল খারাপ করিয়ে দিয়েছেন এই শিক্ষক।
তারই তিনদিনের মাথায় গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী। সবশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নারী শিক্ষার্থী যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ তুলে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর