নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবিতে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (৬ মার্চ) বেলা ১০ টায় আশ্বিনী কুমার হল চত্বর সম্মুখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ব্যাংক লোপাট, অর্থপাচার প্রতিরোধ, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবিতে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলার বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা নির্বাহী সমন্বায়ক আরিফুর রহমান মিরাজের সঞ্চালনায় ও সমন্বায়ক দেওয়ান আবদুর রসিদ নীলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ নির্বাহী সমন্বায়ক রুবিনা ইয়াসমিন, অর্থ সম্পাদক ইয়াসমিন সুলতানা, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি বরিশাল জেলা সদস্য জলিল চিশতি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক রাইদুল ইসলাম সাকিব প্রমুখ।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, 'সর্বক্ষেত্রে সরকারের ভুল পরিকল্পনার খেসারত দিচ্ছেন সাধারণ জনগণ। অপরিকল্পিত জ্বালানি খাতের লুটপাটের দায় জনগণের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে। জবাবদিহিতাহীন সরকার জনস্বার্থকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তার গোষ্ঠীস্বার্থ কায়েমে ব্যস্ত রয়েছেন। বাজারে সিন্ডিকেট বহাল রেখে জনগণকে কৃচ্ছসাধনের উপদেশ দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হয় সরকার নিজেই সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক। তার ছায়াতলেই এসব সিন্ডিকেট বেড়ে উঠছে।'
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, 'সুশাসনের অভাবে দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। ঋণ খেলাপিরা অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এস আলম গ্রুপের নামে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এসেছে৷ সরকার এসব পাচার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ বরং গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে, বিভিন্ন দ্রব্যের ওপর কর বসিয়ে জনগণের পকেট কেটে জনগণের জীবনে দুর্বিষহ করে গড়ে তুলেছে। এই ডামি সরকারের দ্বারা এসব সিন্ডিকেট, পাচার বন্ধ করা সম্ভব নয়। দ্রব্যমূল্য কমানো, অর্থ পাচার ও ব্যাংক লোপাট বন্ধ করতে প্রয়োজন গণপ্রতিরোধ।'
নেতৃবৃন্দ গণতান্ত্রিক সমাবেশে পুলিশি হামলা বন্ধ ও দেশের সর্বস্তরে দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায়।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর