কক্সবাজারের কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট অফিসের সাবেক ডেপুটি কমিশনার ও মোটিভেশনাল স্পিকার সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সুশান্ত পালকে তলব করে ১৮ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট দুদক কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে নিজের বক্তব্যের জন্য চিঠি দেয়া দুদক। ওই চিঠির একটি কপি সম্প্রতি সময় সংবাদের হাতে এসেছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি হাজির হলে অভিযোগের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলেও দুদক সূত্রে জানা যায়। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে দুদক কর্মকর্তাদের অনেক প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে অভিযোগ ও জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি সুশান্ত পালও।
সুশান্ত পাল ছাড়াও তদন্তের আওতায় পড়েছেন- রাজস্ব কর্মকর্তা সব্যসাচী শিকদার, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, আনিসুল করিম, সৈয়দ আবু রাসেল, মো. আলাউদ্দিন ও তৌফিক আহমেদ।
সুশান্ত পাল বর্তমানে কুষ্টিয়া কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট অফিসের ডেপুটি কমিশনার হিসেবে কর্মরত। ৩০তম বিসিএস পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেন। ফেসবুকে তার অনুসারী প্রায় ১.৮ মিলিয়ন। চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি এবং তার ছয় সহযোগী কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রের নামিদামি হোটেল-রেস্টুরেন্টের রাজস্ব রেয়াতের মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একই সঙ্গে সরকারকে বছরে কয়েকশ কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত করেছেন।
এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালে একটি অভিযান পরিচালনা করে দুদক। ওই অভিযানে হোটেল মালিকদের রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ পায় সংস্থাটি। এসব বিষয় আমলে নিয়ে দুদকের গোয়েন্দা বিভাগ অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর