সম্ভাবনায় ভরপুর লিচু চাষের উপযোগী দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় লিচু গাছে পরিপূর্ণভাবে মুকুল এসেছে। থোকায় থোকায় লিচুর মুকুল দেখে ভালো ফলনের আশা করছেন লিচু চাষীরা।
লিচু চাষীরা বলছেন, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এমন মুকুল দেখা যায়নি। বাগানের প্রায় প্রতিটি গাছেই ঝুলছে থোকা থোকা লিচুর মুকুল। এখনও মুকুল আসেনি এমন বাগানের সংখ্যা অতি নগণ্য। এ বছরে লিচুর মুকুল আসার সময় হালকা বৃষ্টি হওয়ার কারণে পূর্ণাঙ্গ মুকুল বের হয়েছে।
জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূল এবং দোআঁশযুক্ত মাটির কারণে ঘোড়াঘাট ফল চাষের উপযুক্ত। উপজেলার অনেকেই লিচু চাষের দিকে ঝুঁকছে।
ফাল্গুনের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে লিচুর মুকুল আসতে শুরু করে। ফাল্গুনের শেষে লিচু হলুদ ও সোনা রঙের ফোটে। চৈত্রের শুরুতে ফুলগুলো কুড়িতে রূপ ধারণ করে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতে গাছে গাছে লাল টুকটুকে লিচুর দেখা মিলবে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে বর্তমানে উপজেলায় ৬৩ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। এ উপজেলায় প্রধানত ৩ জাতের লিচু চাষ হয়। এর মধ্যে চায়না থ্রি বেশি পছন্দ চাষীদের। এ ছাড়াও রয়েছে বোম্বায় ও মাদরাজী।
উপজেলার ৩নং সিংড়া, ১নং বুলাকীপুর, ৪নং সদর ঘোড়াঘাট ও ঘোড়াঘাট পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি লিচু বাগান রয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাগানসহ প্রায় বাড়ির আঙ্গিনায় থাকা গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে লিচুর মুকুল।
উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নে লিচু চাষি নুরুল ইসলাম জানায়, তার ১ বিঘা জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। গত এক বছর পূর্বে চায়না থ্রি লিচু চাষে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে। গত বছর কিছুটা লাভবান হয়েছে। চলতি মৌসুমে বাগানে যেভাবে লিচু গাছের মুকুল ধরেছে তাতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দুই বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুজ্জামান জানায়, ঘোড়াঘাট উপজেলার মাটি ফসলচাষের উপযোগী। ফল চাষীদের কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ফলচাষে জৈব সার খুবই প্রয়োজন। ইতিমধ্যে লিচু চাষীরা লিচু মোটাজাত কারণে মাটিতে জৈব সার, হরমোনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক সার ব্যবহার শুরু করেছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর