জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুতে সুবিচারের দাবিতে শোক র্যালি ও মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ। রোববার বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শোক র্যালি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবন্তিকার আত্মহত্যার পেছনের কারণ তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানান। অবন্তিকার সহপাঠী সেতু পাল বলেন, আমরা কখনো ভাবিনি অবন্তিকার এমন হবে। যে সব সময় বলত, আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়। আমি চাই সুষ্ঠু তদন্ত হোক। যারা জড়িত তারা বেড়িয়ে আসুক।
এসময় বিভাগের শিক্ষার্থী তনিম বলেন, আমরা একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমার একই পরিবারের বড় বোনের খুনে অভিযুক্ত আমারই বড় ভাই। আমি এখন বাকরুদ্ধ। আমি আমার বোনের জন্য সুষ্ঠু বিচার চাই। তার হত্যার পিছনে যে বা যারাই জড়িত তার যেন সুষ্ঠু বিচার হয়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মূল অপরাধীকে সবার সামনে বের করে আনতে হবে।
মানববন্ধনে বিভাগের শিক্ষক আহমেদ এহসানুল কবির বলেন, আমার সঙ্গে তার সপ্তাহে তিন দিন ক্লাসে দেখা হতো। ক্লাসে সে অ্যাক্টিভ ছাত্রী ছিল, মেধাবী ছাত্রী ছিল। এক সময় এই মেধা বিকশিত হতো। আমরা একটি নক্ষত্রকে হারিয়েছি। আমি বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা। আমরা চেষ্টা করেছি তাকে মানসিক শক্তি দিতে। একাধিকবার সতর্ক করেছি। হয়ত শেষ পর্যন্ত অবন্তিকা তার সমস্যাগুলো জানায়নি। জানালে,আমরা ব্যবস্থা নিতে পারতাম। আমি তদন্ত কমিটিকে আমার বক্তব্য দিয়েছি। আশা করি আমরা ন্যায়বিচার পেতে সক্ষম হবো।
বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী আক্কাস সরকার বলেন, আমি আমার ৩৪ বছরের শিক্ষকতার জীবনে, অনেক ঘটনা দেখেছি কিন্তু অবন্তিকার মৃত্যু অন্তত কষ্টের। তার চলে যাওয়া শুধু পরিবারের ক্ষতি নয়, রাষ্ট্রের ক্ষতি। সে অনার্স শেষ করেছে। সে বিচারক হতে পারত। রাষ্ট্রের কাছে দাবি তার আত্মহত্যার পিছনে কারণ বের করে, দ্রুত ব্যবস্থা করা হোক। প্রয়োজনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুত বিচার হোক। দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক যাতে আর কেউ এই ধরনের কাজ করার সাহস না হয়।
এসময় আইন বিভাগের শিক্ষক আসাদুজ্জামান সাদি, নুরুন্নাহার মজুমদার, মুনিরা জাহান সুমি, মেফতাহুল হাসান সান, মাহনুদা আমির ইভা, শারমিন আকতার সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর