প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য তারা ( আয়ারল্যান্ড) অনুদান দিয়ে আসছে। এটা তারা বাড়াবে বলেছে। আমরা চাই রোহিঙ্গাা সম্মানের সঙ্গে তাদের দেশে ফেরত যাক।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে আগারগাওয়ের বিডা ভবনে আয়ারল্যান্ডের উদ্যোগ, ব্যবসা এবং কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী সিমন কোভিনি টি.ডির সঙ্গে আলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
সালমান ফজলুর রহমান বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশে অনেক বিনিয়োগ করতে চায়। কোথায় কোথায় করতে পারে সেটা বুঝতে চায়। দেখতে চায়। আমরা তাদের কে বলেছি তোমাদেরকে আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দিব। আয়ারল্যান্ডের বড় কোম্পানি গুলো এখানে বিনিয়োগ করতে পারবে। এটাতে তারা জানিয়েছে এটা খুবই ভাল উদ্যোগ। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি এমওইউ স্বাক্ষর করবে। খুব শীগ্রই সেটা করবো। তারপর দেশের ব্যবসায়ী, মন্ত্রীদের নিয়ে একটা ডেলিগেশন আয়ারল্যান্ডে যাব। ভবিষ্যতে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়বে, এটার অনেক সুযোগ আছে।’
এই উপদেষ্ট বলেন, আজকে প্রথম আমাদের দেখা হল। তাদের মূল ম্যাসেজ হল আমাদের সঙ্গে একেটা সম্পর্ক করা । তারা আমাদের সঙ্গে কা্জ করতে আগ্রহী। কাতার, জেদ্দা, দুবাই বিমানবন্দরে আইরিশ কোম্পানি হ্যান্ডেলিং করে। তারা বাংলাদেশের পর্যটনে আগ্রহী। তারা বলছে তোমরা কক্সবাজার , কুয়াকাটার উন্নয়ন করছো, থার্ড টার্মিনাল করছো, পর্যটনে দুই দেশের কোম্পানি বিনিয়োগ করতে পারবে। বেজা থেকে তিনটা ট্যুরিজম জোন সম্পর্কে উনাদের অবহিত করেছে।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মত আয়ারল্যান্ডের অভুতপূর্ব উন্নতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন‘গত ১৫ বছরে যেমন আমাদের উন্নতি হয়েছে, আয়ারল্যান্ডের ও উন্নতি হয়েছে। তারা ইউরোপের সবচেয়ে গরীব দেশ ছিল, এখন তারা সবচেয়ে ধনী দেশ। এই ১৫ বছরে তাদের ও পরিবর্তন হয়েছে। তারা কীভাবে এটা করলো, জানতে চাইলে আমাকে জানালো, আমাদের যেমন বেজা ও বিডা আছে তাদেরওে এন্টারপ্রাইজ আয়ারল্যান্ড ও আইডিয়া আয়ারল্যান্ড অথরিটি, এই দুটির মাধ্যমে বিশ্বে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো কে নিয়ে আসতে পেরেছে। তারা কীভাবে এত বিনিয়োগ আকৃষ্ট করলো সেটা আমাদের জানাতে চায়। এই লার্ণিং এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করতে আমরা বিডা বেজা থেকে আয়ারল্যান্ডে টিম পাঠাতে পারি।
আয়ারল্যান্ডের ৮০ শতাংশ কর মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি থেকে আসে জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, ওরা পারলে আমরা কেনো পারবো না। ব্যবসায়ের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আমাদের এনবিআর, কাস্টমস সম্পর্কে অনেক সমস্যার কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। সমস্যা থাকবে সেটা সমাধান করতে হবে। তারা কীভাবে পেরেছে এটা শিখতে পারলেও আমরাও পারবো।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য তারা অনুদান দিয়ে আসছে। এটা তারা বাড়াবে বলেছে। আমরা চাই রোহিঙ্গাা সম্মানের সঙ্গে তাদের দেশে ফেরত যাক। আমাদের উপর এই চাপটা বেশি হয়ে যাচ্ছে।
আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী সিমন কোভিনি বলেন- ব্যবসা, সহযোগিতার অনেক সুযোগ আছে এখানে। এখানে আমরা কাউন্সিল অফিস খুলেছি। প্রযুক্তি, এভিয়েশন, এ আই, এসব খাতে পরস্পরের যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের অনেক কোম্পানি রয়েছে। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর