বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মঙ্গল শোভাযাত্রা-১৪৩১ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক চিত্রশিল্পী হাসেম খান।
এসময় হাসেম খান বলেন, এই চারুকলা অনুষদ থেকে প্রতি বছর বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়। সেই পাকিস্তান আমল থেকে এটি শুরু হয়েছিল। তখন পাকিস্তানি সংস্কৃতির নামে এক ধরনের জগাখিচুড়ি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। তারই তীব্র প্রতিবাদ ছিল এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। এক মাস ধরে আমাদের শিল্পীরা মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নেবে। সমস্ত অশুভ শক্তিকে রুখে দেওয়ার জন্য আমাদের শিল্পীরা প্রস্তুত।
তিনি বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্যই এ ধরনের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তরুণ বয়সে আমরা রক্তচক্ষুকে তোয়াক্কা করিনি। তাদের নিষেধ সত্ত্বেও আমরা বন্দুকে আলপনা এঁকেছি, শহীদ মিনারের আলপনা এঁকেছি, চারুকলা ভবনের সামনে আলপনা এঁকেছি। চারুকলার তৎকালীন ছাত্র-শিক্ষকরা এ বাংলাকে জাগিয়ে তোলার জন্য ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যা যা করার দরকার তা সব করেছিলেন। আমরা চাই জনসাধারণ আমাদের সঙ্গে একাত্ম হোক। কারণ, এ আয়োজন আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে ইতিহাস তুলে ধরার জন্য।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, আমরা এই যাবৎ অনেকের বাণীই তুলে ধরেছি। তবে আমাদের সাহিত্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কবি জীবনানন্দের কোনো পঙ্ক্তি সামনে আনিনি। তাই এবার কবির তিমির হননের গান কবিতার একটি লাইন আমরা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছি। এটি তরুণ প্রজন্মের মুখে উচ্চারিত হবে। এ বছর কবি জীবনানন্দ দাশের ‘তিমির হননের গান’ কবিতা থেকে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ বাক্যটিকে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং দেশ বরেণ্য চিত্র শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর