কি খাচ্ছি? মধু না ফিটকিরি। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চিনি ও ফিটকিরি সাথে পানি মিশিয়ে মধু তৈরি করে বিক্রি করে আসছে কতিপয় অসাধু মধু বিক্রেতা।
জানা গেছে, উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের কলাবাড়ী মৌজার সাউদগাড়ী পাড়ার ৪ জন ও সিংড়া ইউনিয়নের নূরপুর মৌজার সাউদগাড়ী পাড়ার একজন দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর থেকে এ নকল মধুর ব্যবসা করে আসছে।
নকল মধু ব্যবসায়ীরা হলো কলাবাড়ী মৌজার সাউদগাড়ী পাড়ার মৃত- রইচ উদ্দীনের ছেলে আব্দুল রাজ্জাক (৪০), মোফাজ্জলের পুত্র বারেক (৫০), বারেকের পুত্র শাকিল (২৮) ও হবিবর রহমান মধু (৪৫)। সিংড়া ইউনিয়নে নূরপুর মৌজার সাউদগাড়ী পাড়ার আব্দুল আজিজের পুত্র আব্দুল কুদ্দুস। এদের মধ্যে হবিবর রহমান নকল মধু তৈরি ও বিক্রির মূল হোতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী জানান, দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর থেকে এই ৫ জন নকল মধু তৈরি করে সাইকেল ও মটরসাইকেল নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে মধু বিক্রি করে থাকে। তারা এ ব্যবসা করে ইটের বাড়িঘর, জমিজমাসহ একাধিক মটরসাইকেল ক্রয় করেছে।
নকল মধু তৈরি বিষয়ে আব্দুর কুদ্দুস ও আব্দুর রাজ্জাক ওরফে মাস্তান মধু স্বীকার করেছে তারা দীর্ঘদিন থেকে এ ব্যবসা করে আসছে।
চিনি ও ফিটকিরি দিয়ে মধু তৈরি করে মানুষকে খাওয়ালে এতে বিষক্রিয়া সহ এসিড ও মারাত্মক ভাবে কিডনির ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প : প : কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মাদ তহিদুল আনোয়ার। তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে শনিবার (২৩ মার্চ) উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে অতিসত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর