রাজবাড়ী পাংশা উপজেলার সড়ক গুলো এখন মাটি ব্যবসায়ী ও ইটভাটার মালিকদের দখলে। ইটভাটা ও মাটি ব্যবসায়ীদের মাটি বাহী গাড়ি চলাচল করার কারণে পাকা সড়কগুলো যেনো কাঁচা মাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। সড়কের উপরে চলন্ত গাড়ি হতে পড়ে থাকা মাটি শুষ্ক মৌসুমে ধুলা আর একটু বৃষ্টিতেই পিছলা হয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের সময়  মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়। এছাড়াও এসব সড়ক দিয়ে পায়ে হেটেও চলাচল করা যায় হয় না। বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে দুই চাকার যানবাহন চালকেরা।

পাংশা উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই চলছে এসব মাটি টানার গাড়ি। মাসের পর মাস ধরে কতিপয় মাটি ব্যবসায়ীরা সড়কে মাটি ফেলে পাকা রাস্তাগুলো কাচা রাস্তায় পরিণত করে সাধারণ মানুষের চলাচলের ভোগান্তি সৃষ্টি করলেও তাদের প্রতি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেন দুরুহ ব্যপার।

অবৈধ ইটভাটা ও বাণিজ্যিক প্রয়োজনের জন্য বিভিন্ন ফসলি জমি ও ডোবাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নানা উপায়ে মাটি কেটে সেগুলো বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে ভাটায় নেয়া হচ্ছে। আর এসব গাড়ি থেকে মাটি পড়ে জমে থাকছে সড়কের উপরে।এতে পাকা রাস্তায় মাটি পড়ে পিচঢালা সড়ক যেনো কাঁচামাটির সড়কে পরিণত হয়েছে।

রবিবার (৩১ মার্চ) যশাই, মাছপাড়া, হাবাসপুর, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় চলমান রয়েছে মাটি টানার গাড়ী। এ ছাড়া মাটি বহনকারী গাড়ি থেকে কাদামাটি পাকা রাস্তায় পড়ে হরহামেশাই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এর ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সূমুহের নিকট মাটিবাহী গাড়ি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী বলেন- ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জেল জড়িমানা করার বিধান থাকলেও তা খুব একটা চোখে পড়ছে না, আমরা সাধারণ পথচারীরা প্রতিদিনই সমস্যার সমূখিন হচ্ছি অথচ নেই কোন প্রতিকার।

আব্দুর রাজ্জাক নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ধুলাবলির জন্য আমাদের থাকা খুবই কষ্ট হয়। ধুলা বালির কারণে ঘরের টিন একবার নষ্ট হয়ে গিয়েছে আবারো মরিচা ধরতে শুরু করেছে। আম-কাঁঠাল ধুলাবালির কারণে ঝরে পড়ে যায়। অভিযোগ দিয়েছি কোন কাজ হয়নি।

মোঃ হাসান আলী খাঁ বলেন, বৃষ্টি হলে চলাফেরা করা যায় না আর বৃষ্টি না হলে ধুলাবালির কারনে খাবার, লেপ, কাথার মধ্যেও ধুলাবালি চলে যায় খুবই ভোগান্তের মধ্যে রয়েছি আমরা। আমরা এর আগে অভিযোগ দিয়েছিলাম কোন কাজ হয়নি। আমরাও তো এ দেশের নাগরিক নাগরিক সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত!