রমজানে ভোরে সেহরি খেয়ে নামাজ পড়ে অনেকেই ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। বাড়ির দারোয়ানরাও এ সময় থাকের ঘুমে। আর এ সুযোগে নামাজির বেশে খোলা দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা ও মোবাইল চুরি করে করে পালিয়ে যায় একটি চক্র।
গতকাল বুধবার পল্লবী ও বাউনিয়া, যাত্রাবাড়ী, সাইনবোর্ড এবং চট্টগ্রাম রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে পকেটমার, মোবাইল চোর এবং চোরাই মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তনকারীসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭৯টি স্মার্টফোন ২৪টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে কারও নামে ১৭টি, কারো নামে ১১টি, কারও নামে ৮/৯টি করে চুরি-ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোড নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, রমজানে ভোরে সেহরি খেয়ে, ফজর নামাজ পড়ে সম্ভ্রান্ত থেকে নিম্নবিত্ত এলাকার মানুষেরা অনেকেই ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সুযোগে কিছু মোবাইল চোর নামাজির বেশে এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, মোবাইল চুরি করে।
আবার গণপরিবহন এবং প্রাইভেটকারে যাতায়াতের সময় খোলা জানালার পাশে বসে মোবাইলে কথা বলার সময় অতর্কিতভাবে টান মেরে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া, বিভিন্ন শপিং মলে ক্রেতাদের পকেটে, ব্যাগে কৌশলে চাপ দিয়ে মোবাইল উপরে উঠিয়ে চুরি করে পালিয়ে যায় চক্রটি।
ডিবিপ্রধান বলেন, মোবাইল চুরির পর এগুলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সামনে ফুটপাত, স্টেডিয়াম মার্কেটের ফুটপাত, গুলিস্তানে দালালদের কাছে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
পরে দালালরা মোতালেব প্লাজা, উত্তরার মাসকট প্লাজা, মিরপুরের শাহ আলী প্লাজা, চট্টগ্রাম রোডের একাধিক দোকানে বিক্রি করে দেয়। তারা চাইনিজ বিভিন্ন সফটওয়্যার দিয়ে আইএমইআই পরিবর্তন করে অন্য রিটেইলার এবং হোলসেলারদের কাছে বিক্রি করে দেয়। কখনো কখনো মোবাইলের ডিসপ্লে, ক্যামেরা কেসিং মাদারবোর্ড ব্যাটারিসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে আলাদা আলাদা বিক্রি করে দেয়।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দালালসহ চক্রের অন্য সদস্যদের শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
অপরাধ এর সর্বশেষ খবর