উইকেট খানিকটা ধীরগতির হওয়ায় শেষের দিকে মুস্তাফিজুর রহমান স্লোয়ার ডেলিভারি করবেন যা কিনা বাঁহাতি স্পিনারদের মতো করে আসবে। লম্বা সময় সতীর্থ এবং প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলায় এটা বেশ ভালোভাবেই জানা আন্দ্রে রাসেলের।
তবুও বাঁহাতি এই পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারি খেলতেই পারলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে এই ব্যাটার। মুস্তাফিজের স্লোয়ার খেলাটা যে কঠিন সেটা প্রথম ইনিংস শেষে জানালেন রবীন্দ্র জাদেজাও।
২০১৫ সালে ক্রিকেটে এসেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন মুস্তাফিজ। অভিষেকের পরের বছরে খেলেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় লিগ আইপিএলেও। যেখানে নিজের ছাপ রেখেছিলেন খুব ভালোভাবেই। হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে ৬.৯ ইকোনমিতে তুলে নেন ১৭ উইকেট। স্লোয়ার, কাটার আর গতির বৈচিত্রে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলে ফেলেছিলেন মুস্তাফিজ।
পেসাররা নিয়মিত স্লোয়ার ডেলিভারি করলেও মুস্তাফিজেরর স্লোয়ার বলের মতো থেকে এত বেশি বাঁক পেতে দেখা যায় না অন্য পেসারদের ক্ষেত্রে। কাঁধ ও কবজির অবিশ্বাস্য মোচড়ে ব্যাটারদের রীতিমতো ধাঁধায় ফেলে দেন মুস্তাফিজ। তবে কাঁধের চোটের পর সেই পুরনো অস্ত্র যেন কোনভাবেই খুঁজে পাচ্ছিলেন না বাঁহাতি এই পেসার। চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে পুরনো রূপের খানিকটা দেখা গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে।
ইনিংসের ১৮তম ওভারে তৃতীয় স্পেলে বোলিং করতে আসেন মুস্তাফিজ। সেই সময় স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন বিধ্বংসী রাসেল। তবে মুস্তাফিজের স্লোয়ার ডেলিভারিতে সেভাবে ব্যাটে-বলেই করতে পারলেন না। ব্যাটে-বলে করতে না পেরে একবার তো হতাশায় হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়লেন। এমনকি মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্যাচ মিস না করলে ফিজের ওভারেই আউট হতে পারতেন রাসেল।
নিজের পরের ওভারে এসেও স্লোয়ারে বাজিমাত করেছেন মুস্তাফিজ। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ককে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলে দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট, ডট দিয়েছেন ১৬টি। মুস্তাফিজের এমন বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন জাদেজা।
প্রথম ইনিংস শেষে হার্শা ভোগলে মুস্তাফিজের বোলিং নিয়ে জানতে চাইলে জাদেজা বলেন, ‘মুস্তাফিজুর রহমান দুর্দান্ত। বিশেষ করে এই ধরনের উইকেটে সে খুবই ইফেক্টিভ। সে দারুণভাবে স্লোয়ার বল করে এবং ব্যাটাররা সেটা বুঝতেই পারে না। সে এক কথায় দারুণ।’
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর