তীব্র তাপদাহে সারা দেশের ন্যায় জয়পুরহাটে ও জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়ায় পৌরসভার পক্ষ থেকে পথচারীদের স্যালাইন ও লেবু মিশ্রিত পানি পানের ব্যবস্থা করেছে। হাসপাতালে ডায়রিয়া, পাতলা পায়খানা সহ নানা রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তীব্র তাপদাহের কারণে সারাদেশের ন্যায় জয়পুরহাটে ও জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়ায় পৌরসভার পক্ষ থেকে বাজারে আসা সাধারণ পথচারীদের সুপেয় পানিসহ স্যালাইন ও লেবু মিশ্রিত পানি পানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুপেয় পানি পানের জন্য জেলা শহরের জিরো পয়েন্ট কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে একটি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে পৌরসভার কর্মচারীরা সাধারণ মানুষকে গ্লাসে করে পানি পান করাচ্ছেন। স্টলে সুপেয় পানিসহ স্যালাইন ও লেবু মিশ্রিত পানি পান করতে বেশ ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
অপর দিকে, ২৫০ শয্যা জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসকের কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ১৯০ থেকে দুই শ জন তাপদাহে আক্রান্ত রোগী জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ৫৭ জন। গরমে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, মাথা ঘুরা, পাতলা পায়খানাসহ নানা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা বলে জানান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শহীদ হোসেন। হাসপাতালে বেড সংকুলান না হওয়ায় মেঝেতে রেখে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বদলগাছী আবহাওয়া অফিস জানায়, জয়পুরহাট জেলায় তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি তথ্য অফিস সরকারের হিট সতর্ক বার্তা প্রচার করছেন। জয়পুরহাটে দিনের বেলা বাতাসে আগুনের হালকা অনুভব হচ্ছে। তীব্র তাপদাহের কারণে আখের রসের দোকানে সাধারণ মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক জানান, হিট স্টোক থেকে রক্ষার জন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া, তরল খাবার ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা, ঘন ঘন চোখ মুখে পানি দেওয়া, বাড়িতে তৈরি লেবুর শরবত পান করা, রাস্তার পাশের রঙিন পানি পান না করাসহ এ মুহূর্তে অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি বলেও জানান তিনি। এছাড়া কোন সমস্যা দেখা দিলে নিকটস্থ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর