ফেনী সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়ন এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায় করার অভিযোগ উঠছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভের বিরুদ্ধে।
সূত্রে জানা গেছে, চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছেলে ফাহাদ হোসেন পার্শ্ববর্তী মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সৈয়দ পুর গ্রামের (ছদ্মনাম) ফুলোরির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে
বিষয়টি ফাহাদের মা জানতে পেরে ছেলে ফাহাদ হোসেন কে উক্ত ফুলোরির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে বলে এবং সুপথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে এতে মেয়েটি যোগাযোগ বন্ধ না করে ছেলের বাড়ির আশপাশে ঘুরাঘুরি করে এতে নিরুপায় হয়ে ছেলের মা মনোয়ারা মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের অভিভাবককে মেয়েকে তার ছেলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে অনুরোধ করেন মেয়ের পরিবার ছেলের মাকে আটকিয়ে রেখা খবর পেয়ে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভ তার দু একজন সঙ্গীকে সাথে নিয়ে মতিগঞ্জ গিয়ে ফাহাদ হোসেনের মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ অজুহাত দেখিয়ে ফাহাদের মায়ের ব্যবহৃত স্বর্ণ স্থানীয় কুঠিরহাট বাজারে এক স্বর্ণ দোকানে বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এর মাঝে প্রায় সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন সৌরভ উক্ত প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে নানা ভাবে ভয় দেখিয়ে আরো ২০ হাজার টাকা আদায় করে।
গত ২১ এপ্রিল প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যায় সম্প্রতি ফাহাদের পিতা প্রবাসী বেলায়েত হোসেন খবর পেয়ে উক্ত টাকা ফেরত আনতে ফাহাদের মাকে চাপ প্রয়োগ করে এতে টাকা না দিয়ে উলটো প্রবাসীর স্ত্রী কে হুমকি দিচ্ছে। ফাহাদের মা জানান ছাত্রলীগে নেতা সৌরভ নিজে তার বাড়িতে এসে তার বাড়ি থেকে স্বর্ণ নিয়ে তাকে সহ কুঠিরহাট বাজারে গিয়ে এক স্বর্ণ দোকানে বর্ণ বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। সম্প্রতি সে আরো ৫০ হাজার টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করে। এতে নিরুপায় হয়ে তিনি বিষয়টি তার পরিবারকে ও স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান কে অবহিত করে। চরমজলিশপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো: রিয়াদ জানান ছেলের মাকে ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রলীগ নেতা মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবুর নাম ভাঙ্গিয়ে উক্ত মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে না দেওয়ার কথা বলে দেড় লাখ টাকা আদায় করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন সৌরভ বলেন, ফাহাদের মাকে তিন মাস পূর্বে মতিগঞ্জ ইউনিয়নে উক্ত মেয়ের বাড়িতে আটকিয়ে রাখলে বিষয়টি ফাহাদ আমাকে জানায় পরে আমি গিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সাথে কথা বলার পর মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সালিশি বৈঠকের কথা বলে ছেলে মাকে নিয়ে আসি ঐ দিন ফাহাদের পরিবারের কোন পুরুষ লোক না থাকায় তার মায়ের অনুরোধে তার সাথে স্বর্ণ দোকানে যাই ও সে টাকা নিয়ে মতিগঞ্জ গিয়ে সোহেল নামের এক যুবকের হাতে তুলে দে যেন তার ছেলের সাথে ঐ মেয়ের বিয়ে না পড়ায় ও বিষয়টি গোপন রাখে এ জন্য আমি তার কোন টাকা গ্রহণ করিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো রিয়াদ আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর