উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীকে প্রচার-প্রচারণা বাঁধা, প্রার্থী ও কর্মী সমর্থককে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ও কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অপর প্রার্থী কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উপস্থাপন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত তারা বক্তব্যে বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমান সিরাজী ও তার বাহিনী প্রতিটি ইউনিয়নে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। আমাদের কর্মী সমর্থকরা প্রচার-প্রচারণায় নামলেই তাদেরকে মারপিট করছে, পোস্টার ও লিফলেট কেড়ে নিচ্ছে ও ছিড়ে ফেলছে এবং নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুমকি প্রদান করছে। গত ২৪ এপ্রিল প্রচারণা কালে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানকে মারপিট করা হয়েছে। এ নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী থানায় চারটি জিডি করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নির্বাচনের দিন খলিলুর রহমানের প্রতিটি বুথে দুজন ক্যাডার রাখবে। ভোটাররা চাপ বা টিপ দিয়ে ইভিএম ওপেন করে দিলে বুথের ভিতর খলিলের কর্মীরা ভোট দিয়ে নিবেন বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকির কারণে ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ এই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কোন নির্দেশনাই খলিলুর রহমান সিরাজী মানছে না। সে প্রভাব বিস্তার করে মানুষের ভোটের অধিকার হরণের চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট ও ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কাজিপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উনারা ভোট পাবে না বলে ভোট প্রার্থনার জন্য ভোটারদের কাছে না গিয়ে শুধু অভিযোগ করে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে এই উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় মোট ৩জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর