‘ঘাম ঝরে দরদর গ্রীষ্মের দুপুরে। খাল বিল চৌচির জল নেই পুকুরে, মাঠে-ঘাটে লোক নেই, জল নেই পুকুরে। খাঁ-খাঁ রোদ্দুর। পিপাসা পথিকের ছাতি কাঁপে দুদ্দুর।’ কবির সে সময়ের এই কবিতা যেন আমাদের চোখে এখন দৃশ্যমান হচ্ছে। সূর্য থেকে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। দুপুরে মানুষ ঘর ছেড়ে বিনা কাজে বাইরে যাচ্ছে না। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ মূর্ছা যাবার উপক্রম।
বগুড়া শহরের যে কয়েকটি পুকুর বা জলাশয় আছে তার পানি শুকিয়ে তলানিতে ঠেকেছে। পুকুরের মাটিও ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। বৃষ্টির জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় হচ্ছে। মহান আল্লাহ কাছে বৃষ্টি জন্য কান্নাকাটি করছেন ইসতিসকার আয়ের মুসল্লিরা। তারা অতীতের সকল গুনাহ মাফ চাচ্ছেন আল্লাহর দরকারে।
যে সব ধান গাছ থেকে সবে মাত্র শীষ বের হয়েছে তা চিটা হতে পারে বলে ধারণা করছেন বগুড়ার কাহালু উপজেলার কৃষক শফিউদ্দিন। ঐ এলাকা সরিষার পরে বোরো চাষ হয়েছে। ফলে দেরিতে বোরা বীজ লাগানো হয়েছে।
বগুড়া পোল্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন লিডার জানান, জেলার পোল্ট্রি খামারির হিট স্টোকে আক্রান্ত আতঙ্কে ভুগছেন।লোয়ার জাতীয় বয়স্ক মুরগী ও বয়লার মুরগী নিয়ে সমস্যায় আছে খামারিরা। বয়লার মুরগি শরীরে এমনিতেই তাপ বেশি। তার উপর তীব্র খরতাপে বয়লার মুরগীকে পানি দিয়ে বার বার ভেজাতে হচ্ছে এবং স্যালাইন পানি খাওয়াতে হচ্ছে।
বগুড়ার উপর দিয়ে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার বিকাল ৩ টায় বগুড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ বছরের এটাই জেলা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তীব্র তাপমাত্রায় জেলার নিম্ন আয়ের মানুষকে কাজের সন্ধানে বাইরে বের হতে হচ্ছে। তারা জীবন প্রায় ওষ্ঠাগত। সব চেয়ে বিপতে আছে শিশুরা। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানবিদ মো. শাহারুল ইসলাম জানান দিন দিন ডায়রিয়া রোগী সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার জেলায় ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিল প্রায় ৯শ’জন। পানির স্তর নিচে নেমে আসছে বগুড়ার সকল উপজেলায় জেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায় জেলা হস্ত চালিত সকল পাম্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পানির স্তর ৩৬/৩৭ ফুট নিচে মেনে গেছে এমনটি জানান জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিররিয়া।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর