• ঢাকা
  • ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ২৫ সেকেন্ড পূর্বে
জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:০৯ রাত
bd24live style=

নজরখালী ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকিমুক্ত তাহিরপুরের অন্যান্য হাওর 

ছবি: প্রতিনিধি

নজরখালী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হাওরের ফসলের কোন ক্ষতি হবে না বরং অন্যান্য হাওর ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে আর পানি আরও বাড়লেও উপজেলার অন্যান্য ফসল রক্ষা বাঁধের ও কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন হাওরপাড়ের কৃষকরা।

নজরখালী বাঁধটি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওরের পাশেই। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোর রাতে পানির চাপে বাঁধটি ভেঙে যায়। এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ফসলেরও কোনো ক্ষতি হয়নি এর পূর্বেই এই হাওরে আবাদ করা ধান কাটা শেষ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন হাওরের কৃষকগণ।

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ হাসান উদ দোলা জানিয়েছেন,এই বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি আর উপজেলা বৃহত্তর শনি ও মাটিয়ান হাওরসহ অন্যান্য হাওরে কৃষকের জন্য উপকার হয়েছে। এখন পানি বাড়লে নদী দিয়ে টাংগুয়ার হাওর প্রবেশ করবে তাতে ফসল রক্ষা বাঁধ গুলো সুরক্ষিত থাকতে। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আশঙ্কা থাকল না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাংগুয়ার হাওড়টি সরকার কর্তৃক জলাভূমি ঘোষণা করায় পানি উন্নয়ন বোর্ড নজরখালি ফসল রক্ষা বাঁধটি নির্মাণ করে না। নজরখালি ফসল রক্ষা বাঁধটি সামসাগর হাওর, কলমা হাওর, গনিয়াকুড়ি হাওর, মোকতার খলা হাওর, লুঙ্গাচুঙ্গা হাওর, সেনাডুবি হাওর, ইকরছই হাওর, শালদিগা হাওর, রউয়্যা হাওর ও উলান হাওর, ছটাইন্না হাওর এই হাওরগুলোতে জমির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার একর। প্রতি বছর হাওরপাড়ের কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি নির্মাণ করে কৃষকরা।

আরও জানা যায়, টাঙ্গুয়ার হাওর সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন ও শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ও মধ্যনগর উপজেলার উত্তর বংশিকুন্ডা ইউনিয়ন ও দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের ৮২টি গ্রাম নিয়ে বিস্তৃত।

টাঙ্গুয়া হাওরপাড়ের জয়পুর গ্রামের কৃষক জসিম মিয়া জানান, রবিবার ভোরে নজরখালি ফসল রক্ষাবাঁধ ভেঙে গেলেও হাওরের ফসলের কোন ক্ষতি হবে না। এর পূর্বে কৃষকরা পাকা ধান কেটে ফেলেছে আর যে গুলো আছে সেগুলোও কেটে ফেলতেছে।

জেলার মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, নজরখালি বাঁধের ভিতরের বিভিন্ন হাওরের ৬০ ভাগের বেশী পাকা ধান কাটা শেষ, এখন শুধু উঁচু জমির ধান রয়েছে তার কোনো ক্ষতি হবে না পানি বাড়ার পূর্বেই কেটে ফেলতে পারবে।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি। এখন উপজেলার অন্যান্য বাঁধগুলোর দিকে সবাই কে নজর রাখতে হবে। 

 

শাকিল/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ [email protected]