মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় বাংলাদেশ -ভারতের মধ্যে স্থল বন্দর স্থাপনের জায়গা পরিদর্শন করেছেন সংশ্লিষ্ট টিম।
নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম বৃহস্পতিবার (২ মে) উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের বটুলী চেক পোস্ট ও লাটিঠিলা সীমান্ত পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে এস এম জাকির হোসাইন উপজেলার ফুলতলার বটুলী চেক পোস্ট দিয়ে পুনরায় স্থল বন্দর চালু এবং লাটিঠিলা সীমান্ত দিয়ে নতুন স্থল বন্দর স্থাপনের জন্য আবেদন করেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে এ টিমে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন স্থল বন্দর অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো আমিনুল ইসলাম, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব আনিসুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন লেমন, ফুলতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মোজাম্মেল হোসেন, ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাঞ্চন চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক তাজুল ইসলাম, রাজস্ব কর্মকর্তা মহিদুর রহমান, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, ইউপি সদস্য ইমতিয়াজ গফুর মারুফ, স্বপন ভট্রাচার্য, ব্যবসায়ী আবুল কালাম, নাজমুল আলম লিজন প্রমুখ।
স্থানীয় ফুলতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি এই এলাকা দিয়ে স্থল বন্দর স্থাপন। এই চেকপোস্ট দিয়ে বর্তমানে ভারতের মানুষ বৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারলেও বাংলাদেশের মানুষ বৈধভাবে ভারতে যাতায়াত করতে পারে না। এই এলাকা দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি রপ্তানি করা হয়ে থাকে। যদি স্থল বন্দর স্থাপন হয় তাহলে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী নাজমুল আলম লিজন বলেন, ব্যবসা বানিজ্যের প্রসারের জন্য এই এলাকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।স্থল বন্দর স্থাপন হলে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আদায় হবে এবং ডলার বিনিময়ের মাধ্যমে ডলারের সংকট কাটবে।
এরপর উপজেলা সভাকক্ষে জনগনের মতামতের জন্য এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং এর সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক মিয়া, জায়ফর নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা, পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুয়েল উদ্দিন, গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, ফুলতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, জুড়ী থানার ওসি (তদন্ত)হুমায়ুন কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকমল হোসেন, কামিনীগন্জ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী কামাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক নুরুল আম্বিয়া, ভবানী ষগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এম এ মুহিন, জুড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সিতাংশু শেখর দাস, জায়ফর নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতীশ চন্দ্র দাস, দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম তারা মিয়া, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ইত্তেফাক প্রতিনিধি কামরুল হাসান নোমান, সমকাল প্রতিনিধি মো বেলাল হোসাইন প্রমুখ।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে,১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এ সীমান্তের চেক পোস্ট দিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল। এলাকার মানুষের ব্যবসা বানিজ্যের অনেক সুযোগ সুবিধা ছিল। ২০০৪ সালে এই স্থল বন্দরের কার্যক্রম একমূখী করা হয়।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর