প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, দেশের সব মানুষকে পেনশনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে পেনশন স্কিমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এসময় তিনি সরকারের যুগান্তকারী এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রোববার (৫ মে) দিনব্যাপী রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় পেনশন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, রংপুর বিভাগে ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ বসবাস করে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ পেনশনের আওতায় চলে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভাগীয় পেনশন মেলায় সকলেই অংশ নিচ্ছে এবং রেজিস্ট্রেশন করছে। দেশের প্রতিটি মানুষকে পেনশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে মেলা জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধন করছেন। প্রধানমন্ত্রী ৪১ লক্ষ মানুষকে জমি এবং ঘর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তা থেকেই সরকারি চাকরিজীবীর পাশাপাশি দেশের ৯৮ ভাগ মানুষকে পেনশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হয়। যাতে জীবনের শেষ বয়সে কারো কাছে নির্ভরশীল হতে না হয়।
এসময় সর্বজনীন পেনশন স্কিম মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়ন এবং জোরদারকরণের লক্ষ্যে গুরুত্বারোপ করে জাতীয় পেনশন স্কিমের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরে সবাইকে পেনশন স্কিমের আওতায় আসার জন্য অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। বর্তমানে দেশে জাতীয় পেনশন স্কিম নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ৫৬৬ জন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- পেনশন স্কিমের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান ফসিউল্লাহ, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত ডিআইজি রশিদুল হাসান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান প্রমুখ।
এদিকে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিভাগের সরকারি ও বেসরকারি দফতর এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের ১২৫টি স্টল বিভাগীয় পেনশন মেলায় অংশ নেয়। মেলার বুথে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে ব্যাংক হিসাব খুলে পেনশন স্কিম চালু করার সুযোগ রাখা হয়।
পরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বিভাগীয় কর্মশালা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। মেলা ও কর্মশালায় রংপুর বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় কর্মকর্তা, শিক্ষকরা অংশ নেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর