তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল জনজীবন। অস্বস্তিতে ছিল প্রাণীকূলও। অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। পটুয়াখালীর আকাশ জুড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে মেঘ। নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। শহর জুড়ে বইছে শীতল হাওয়া। 

দীর্ঘ তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে অবশেষে পটুয়াখালীতে স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ার ফলে তাপমাত্রার সঙ্গে গরম কমে এতে শীতল অনুভব হচ্ছে কিছুটা।

সোমবার (৬ মে) বিকেল ৪ টার দিকে আকাশে মেঘ করে শীতল হাওয়া বইতে শুরু করে তারপর সাড়ে ৪ টার দিকে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। মুষলধারে বৃষ্টি না হলেও তীব্র গরমে হাঁপিয়ে ওঠা জনজীবন একটু হলেও স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে।

মানুষ বৃষ্টি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছেন। অনেকে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে গা ভিজিয়ে নিচ্ছেন মনের আনন্দে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান দেন স্বস্তির বৃষ্টি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন।

রিকশাচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে এই ঠান্ডা বাতাস আর বৃষ্টি দেখে অনেক ভালো লাগতেছে। রৌদ্রের যে কি তাপ আছিল হেইয়ার মধ্যেও রিকশা চালাইতে হইতে পেটের দায়ে। অনেক কষ্ট হইতো রিকশা চালাইতে। এহন বৃষ্টি নামছে, আশাকরি বৃষ্টি আরও নামবে। আবহাওয়াডা ঠান্ডা কইরা দিয়া যাইবে।  

উল্লেখ্য, এবার এপ্রিলে দীর্ঘতম তাপদাহ বয়ে গেছে দেশজুড়ে। ১৯৮১ সালের পর এবারের এপ্রিল ছিল শুষ্কতম মাস। শুধু উষ্ণতম নয়, এই এপ্রিল ছিল গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শুষ্কতম। দেশের গড় বৃষ্টিপাত ছিল এক মিলিমিটার।

সালাউদ্দিন/সাএ