রাত পোহালেই বগুড়ার তিন উপজেলা সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলীতে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ। তিন উপজেলার ২২২টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৭টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে জেলার তিনটি উপজেলায় নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিন উপজেলার অতি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়নে মঙ্গলবার বিকালে ভোটের ব্যালট পেপারসহ সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসান।
তিনি জানান, যে সব দুর্গম এলাকায়, সে সব এলাকায় মঙ্গলবার বিকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, সব চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গাবতলী উপজেলা। এই উপজেলার ৯৮টি কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ। সারিয়াকান্দি উপজেলার ৭১ টি কেন্দ্রের মধ্যে ২২ ঝুঁকিপূর্ণ। সোনাতলা উপজেলার ৫৩ কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭ টি ঝুঁকিপূর্ণ।
বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে বগুড়ার তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে শুধু সোনাতলা উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে যুবলীগ নেতা ফিদা হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হয়েছেন। তিন উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ২২২টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৭ জন। এর মধ্যে সারিয়াকান্দি উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৮ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭১ টি।
এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া বিজিবি, র্যাব, পর্যাপ্ত পুলিশ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশের ট্রাকিং ফোর্সে থাকবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর