ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটের চার উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (৮ মে) সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। উপজেলাগুলো হলো সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, সদর, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ। এই চার উপজেলায় লড়ছেন মোট ৫৮ জন প্রার্থী। এদিকে ভোটকেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে। কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা যায় দুপুর ১২ টা পর্যন্ত শতকরা প্রায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
এর আগে, গতরাতে নির্বাচনী সরঞ্জাম চার উপজেলার ৩০২টি ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়। ভোরে পৌঁছে ব্যালট।
এদিকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ করতে প্রস্তুত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা।
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিজিবি। এছাড়াও গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সাইবার নজরদারিও শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের কার্যালয় থেকে দেয়া তথ্য মতে, সিলেটের চার উপজেলায় ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি উপজেলায় দুই প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ ও আনসার ভিডিপির স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে। কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য আজ থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দু’জন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি)-এর নেতৃত্বে ছয়জন পুরুষ ও চারজন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন।
সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছেন পুলিশ। গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি করে মোবাইল টিম সক্রিয় রয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি থানায় পুলিশ ও সশস্ত্র আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্যদের স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছে। থানা এলাকায় র্যাব ও বিজিবি টহল দিচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তারা অপারেশনে যাবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর