জেলায় ১ম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালাইতে মিনফুজুর রহমান মিলন, ক্ষেতলালে দুলাল মিয়া সরদার ও আক্কেলপুর উপজেলায় মোকছেদ আলী মন্ডল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার জয়পুরহাটের তিন উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মূখর পরিবেশে ভোট সম্পন্ন হয়। রাত সাড়ে ১১ টায় বেসরকারী ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল করিম।

৬ষ্ঠ  উপজেলা পরিষদ ১ম ধাপের সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে জয়পুরহাটের কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন টিপ টিপ বৃষ্টি উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় । কালাই উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪২ হাজার ৪৫৪ ভোট পেয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলাল-আনারস পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯৪৩ ভোট। এ ছাড়া সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৪ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে গোলাম মস্তোফা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে মেরিনা খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন । এ উপজেলায় ভোট প্রদানের শতকরা হার হচ্ছে ৬৯ দশমিক ৬৭ ভাগ।

ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩০ হাজার ৪০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন দুলাল মিয়া সরদার -দোয়াতকলম। নিকটতম তাইফুল ইসলাম তালুকদার -আনারস পেয়েছেন ২২ হাজার ৯০০ ভোট। সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ হাজার ৬১৭ পেয়ে মতলুব হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৭ হাজার ৩৭০ ভোট পেয়ে ৩য় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন নুরুন্নাহার গুন্না। এ উপজেলায় ভোট প্রদানের শতকরা হার হচ্ছে ৭৩ দশমিক ১৭ ভাগ।

আক্কেলপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৯ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোকছেদ আলী মন্ডল ( মাস্টার) মোটরসাইকেল। নিকটতম হচ্ছেন নুরুন্নবী আরিফ- আনারস ৩ হাজার ১৮৮ ভোট পেয়েছেন। এখানে হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন নাজমা আকতার লাকী -ঘোড়া, তিনি পেয়েছেন ৬৯২ ভোট । সাধারন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে টুটুল হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ হাজার ২৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আছিয়া খানম সম্পা। এ উপজেলায় ভোট প্রদানের শতকরা হার হচ্ছে ১৯ দশমিক ৯৩ ভাগ।

ওই তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, রাত থেকেই টিপ টিপ বৃষ্টির কারণে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বেড়ে যায়।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ভোট কেন্দ্র রয়েছে আক্কেলপুরে ৪২ টি, কালাই ৩৭ ও ক্ষেতলাল উপজেলায় ৩০টি। ওই তিন উপজেলায় মোট ভোটার হচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৬৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৮ জন এবং মহিলা ভোটার হচ্ছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ৩২০ জন। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করার জন্য প্রতি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহ প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন । ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্্যাব ও বিজিবি সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য ছিল । কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশের পাশা পাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারিও ছিল বলে জানান তিনি।