![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
কোনো প্রকার নিয়োগ ও পদোন্নতি চূড়ান্তকরণ ছাড়াই ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৩তম সিন্ডিকেট সভা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১৯ মে) বিকালে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় টেবিল অ্যাজেন্ডা হিসেবে বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি চূড়ান্তকরণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে সিন্ডিকেট সদস্যদের বিরোধিতার মুখে এসব বিষয়ে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই সভা ভন্ডুল হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেগাপ্রকল্পে সোয়া ছয় কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন খোলা হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, মেগা প্রকল্পে অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের শাস্তির সুপারিশে নির্ধারিত ধারা উল্লেখ না থাকায় সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শাস্তির ধরণ অনুযায়ী ধারা উল্লেখ করতে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে নিয়োগ ও প্রমোশন বোর্ডের বিষয়টি সভার টেবিল অ্যাজেন্ডা হিসেবে ছিল। তাই বিষয়গুলো উত্থাপন করা হলেও মূল এজেন্ডার বাইরে হওয়ায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্যরা এর বিরোধিতা করেন।
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ছুটিতে থাকা পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেনকে এক মাসের মধ্যে যোগদান করতে বলা হয়েছে। না করলে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও প্রমোশন বোর্ড নিয়ে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। এর প্রেক্ষিতে সোমবার (২০ মে) দুপুরে কয়েক দফা দাবি নিয়ে উপাচার্যের সাথে দেখা করতে যান তারা। তবে উপাচার্য অনুপস্থিত থাকায় উপ-উপাচার্যের সাথে দেখা করেন তারা।
এসময় তারা উপাচার্যের নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ নিষ্পত্তি করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করাসহ বিভিন্ন দাবি জানান। তাদের মৌলিক দাবিগুলো হলো, বঙ্গবন্ধু চেয়ারের নিয়োগ সম্পন্ন করে অন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেতে হবে, প্রমোশন বোর্ড সিন্ডিকেট সভা থেকে পাশ দেখাতে হবে ও ঈদের আগে যে কোনো মূল্যে শিক্ষকদের পরীক্ষার বিল দিতে হবে।
শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন বলেন, আমরা আমাদের দাবি জানিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবিগুলোর বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, প্রমোশন বোর্ড সভার রুটিন ওয়ার্ক, সে বিষয়ে কেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি আমরা বোধগম্য নই। আমরা মনে করি এটা প্রতিহিংসা পরায়ণমূলক আচরণ। মূলত এ প্রশাসন সার্বজনীনতা হারিয়েছে। ভিসি না থাকায় প্রো-ভিসির সাথে দেখা করেছি। তিনি বলেছেন ভিসি মহোদয়কে তিনি বিষয়গুলো জানাবেন। দেখা যাক প্রশাসন এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়। তাছাড়া আগে শিক্ষকদের পরীক্ষার একটা বিল দেওয়া হতো। প্রশাসন সেটা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এটাকে অমানবিক বলে মনে করছি। আমরা ঈদের আগে শিক্ষকদের বিল পরিশোধের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, পদোন্নতির বিষয়টি অতিরিক্ত অ্যাজেন্ডা হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয় নি। এটা পুনরায় রেগুলার অ্যাজেন্ডা হয়ে সিন্ডিকেটে উত্থাপন হলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এছাড়া তাদের দাবিদাওয়া গুলো উপাচার্যকে জানানোর জন্য বলা হয়েছিল। আমি উপাচার্যকে জানিয়েছি।
এর আগে গত ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নয়ন বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বিভিন্ন পদে ১৩ জনের (প্রকৌশলী, অফিস সহকারী, মালি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী) নিয়োগের সুপারিশ করে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড। এসব বিষয় সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিলো। এদিকে সম্প্রতি ইউজিসি তদন্ত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। এর পরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর