চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গুলি, হত্যার বিচারসহ নয় দফা দাবিতে কিশোরগঞ্জে বৃষ্টিতে ভিজেই গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে সাধারণ জনতাও অংশ নেয়। এ সময় সাদা পোশাকে থাকা একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ধাওয়া দেয় মিছিলকারীদের একটি অংশ। কিশোরগঞ্জে শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল থেকেই কখনও ঝুম আবার কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বেরিয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
জুমার নামাজের পর কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে নিহতদের স্মরণে জেলার মসজিদে মসজিদে দোয়া হয়। দোয়া শেষে জেলা শহরের শহীদী মসজিদের সামনে থেকে শিক্ষার্থীসহ হাজারও মানুষের একটি মিছিল স্লোগানে স্লোগানে সদর থানার সামনে দিয়ে কালীবাড়ী মোড়, কাচারিবাজার, বটতলা, হারুয়া, আখড়া বাজার, রথখোলা হয়ে পুরান থানায় গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে মিছিলটি গৌরাঙ্গ বাজার এলাকায় কিছুক্ষণ অবস্থান করে। এ সময় মিছিলকারীদের একটি অংশ স্টেশন রোড এলাকায় সাদা পোশাকে থাকা কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই আল-আমিনকে ধাওয়া দেয়। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।
এ কর্মসূচি ঘিরে জেলার বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কোথাও কোথাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা দেওয়ার খবর পাওয়া যায়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের এই অবস্থান।
বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জের সমন্বায়ক অভি চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্র-জনতার ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে ছাত্ররা রাজপথ ছেড়ে যাবে না। ছাত্রসমাজ রাজপথে আছে, রাজপথে থাকবে। আমাদের ভাইদের রক্তের প্রতিটি কণার দাম রাজপথ থেকে নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক ভাইকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। খুনিদের বিচার চাই। এ গণমিছিল থেকে আমরা দাবি জানাচ্ছি, যাদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মিছিলে আন্দোলনকারীরা এসআই আল-আমিনকে ধাওয়া করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এর আঘাতে তিনি আহত হয়েছেন। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর