
শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায় একটি চারতলা ভবনের ফ্ল্যাটে আগুনে পোড়া ও রক্তাক্ত এক পরিবারের বাবা-মা ও শিশু সন্তানের মরদেহ পড়ে ছিলো বিছানায়। তবে বেলা ৫ টা পর্যন্ত দেখা যায় মরদেহ উদ্ধার করেননি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে গিয়ে দেখা যায় মেঝেতে পড়ে আছে এম এ হাসান বাচ্চুর রক্তাক্ত মরদেহ এবং বাসার নিচে পাশেই তার আরেক বাড়ির মাটিতে রাখা হয়েছে স্ত্রী স্বপ্না ও তার শিশু সন্তান জান্নাতীর মরদেহ। এর আগে বেলা ১১ টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল উত্তরপাড়া জোলেখা মঞ্জিলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বাড়ির মালিক এম এ হাসান বাচ্চু(৫৫), তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমে(৩০) ও তাদের সন্তান মোছা. জান্নাতী (৩)। এম এ হাসান বাচ্চু আগে পেশায় একজন এনজিও ব্যবসায়ী হলেও বর্তমানে বেকার ছিলো।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,বাচ্চু তার স্ত্রী ও ছোট সন্তানকে নিয়ে চারতলা বাড়ির চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। ফ্ল্যাটের পাশের একটি কক্ষে ১৮ বছর বয়সী তার বড় ছেলে থাকে। সকালে চারতলা থেকে বড় ছেলে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। তারা বাচ্চুর দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পায়। দরজা ভেঙে ভেতরে তিনজনের নিথর দেহ দেখতে পেয়ে নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতদের প্রতিবেশীরা বলেন, স্বপ্না আমাদের সঙ্গে কথা বলে তার মেয়েকে নিয়ে বাড়ির পাশে স্কুলে নিয়ে যায়। ১০টার দিকে মেয়েকে নিয়ে ফিরে আসে স্বপ্না। এ সময় বাচ্চু ও তার স্ত্রী স্বপ্না ও ছোট মেয়ে বাসায় ছিল। পাশের রুমে তাদের বড় ছেলে ঘুমাচ্ছিলো। হঠাৎ তাদের বড় ছেলে রুমের দরজার নীচ দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখে। পরে তার চেঁচামেচিতে লোকজন দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে। বাচ্চু ও তার স্ত্রীসহ ছোট সন্তানকে বিছানার ওপর পড়ে থাকতে দেখি আমরা। বিছানার জাজিমে আগুন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত হন। তবে বিকেল ৩টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পুলিশের কোন সদস্যকে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, ভাদাইলে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর