
কুমিল্লা ব্রাহ্মনপাড়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ৭ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার দুলালপুর এলাকার মৃত আব্দুল বারেকের পুত্র মো: আবুল কাশেম বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ আরো ৮/১০ জকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মনপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হলো- উপজেলার দুলালপুর (ফিরোজ আক্তারের বাড়ির) মো: মোবারক হোসেন এর পুত্র মো: সজিব (২৫), মো: দুলাল মিয়া পুত্র মো: তাওহিদ (২৫) ও মো: মোজাহিদ (২২), মৃত তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র মো: রুবেল (৪৫) ও মো: রাসেল (৩২), মো: কাজল মিয়ার পুত্র মো: বাছি, মৃত আলী আহাম্মদের পুত্র মো: কাজল, রমিজ উদ্দিনের পুত্র মো: মোতালেব, মো: আব্দুল হালিমের পুত্র মো: আরিফ, ফরিদ উদ্দিনের পুত্র মো: ওসমান, মৃত কানু মিয়ার পুত্র মোবারক হোসেন, মৃত আবুল হাসেমের পুত্র হুমায়ুন কবির, মৃত আলী আহম্মদের পুত্র মো: হেলাল, মৃত ছাফর আলীর পুত্র মো: আলিম, মৃত আছমত আলীর পুত্র মো: ফরিদ উদ্দিন, মোতালেবের পুত্র মো: শান্ত, মৃত জয়দল হোসেনের পুত্র মো: ইকবাল।
মামলা ও ভুক্তভোগীদের থেকে জানা যায়- ১১ সেপ্টেম্বর বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫টায় ঘটিকার সময় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার ৫নং দুলালপুর পশ্চিম বাজারে মো. দুলাল মিয়ার মিষ্টি দোকানের সামনে রাস্তার উপর শফিউল বাশার শিপনকে দেখে মো. দুলাল মিয়ার নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জন সন্ত্রাসী ধারালো দা, লোহার রড ও লাঠি-সোটা নিয়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শিপনের পথরোধ করে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় মো. সজিব ধারালো দা দিয়া শিপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয়। শিপন মাটিতে লুটে পড়লে মো. তাওহিদ তার দু'হাত দ্বারা গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং মোজাহিদ তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে শিপন এর মাথার বাম পাশে জোড়ে আঘাত করে থেতলানো জখম করে। মো. দুলাল মিয়া তার মিষ্টি দোকানের কড়াই এর মধ্যে থাকা গরম তেল এনে আব্দুল হান্নান ও নজরুল ইসলামের মুখে ও বুকে মধ্যে ঢেলে দেয়। যার ফলে আব্দুল হান্নান ও নজরুল ইসলামের বুক ঝলসে যায়।
এছাড়াও সন্ত্রাসী মো: রুবেল তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে তারা মিয়াকে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম হয়। সন্ত্রাসী মো: রাসেল তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আব্দুল হান্নাকে এলোপাতাড়ি জখম করে এবং প্যান্টের পকেটে থাকা ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা আব্দুল হান্নান, নজরুল, শিপনসহ ৭ জনকের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। আহত আব্দুল হান্নান ও নজরুল ইসলাম বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মনপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আবুল কাশেম জানান- এলাকার সন্ত্রাসীদের কারণে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। অভিযোগ দায়ের করার পরও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আমরা আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
ব্রাহ্মনপাড়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর