
আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী (সাবেক খাদ্যমন্ত্রী) কামরুল ইসলাম এবং দৈনিক করতোয়া পত্রিকার সম্পাদক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে সাবেক রাষ্ট্রপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পঞ্চগড়ে মামলা হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন পঞ্চগড় জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুস শেখ। পরে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হোসেন সিআইডিকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
আদালত এবং বাদীর অভিযোগে জানা গেছে ২০১০ সালের ২১ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় পেসক্লাবে বিশ কবিতা কণ্ঠ পরিষদের সভায় তৎকালীন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের চর ছিলেন। এছাড়াও কামরুল ইসলাম যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আলোচনা সভায় জিয়াউর রহমানের কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়নি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তারই ধারাবাহিকতায় যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাধা সৃস্টি করছেন বলে মন্তব্য করেছেন। এদিকে ওইদিন এই মন্তব্যগুলো ইউনুস শেখ মাইকের আওয়াজে শুনে মর্মাহত হয়ে বিক্ষুব্ধ হয়। পরদিন রাজধানী থেকে পঞ্চগড়ে ফিরে ইউনুস শেখ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দৈনিক করতোয়া পত্রিকার প্রথম পাতায় সেই ঘটনার খবর দেখতে পায়। প্রমাণপত্র ছাড়াই জিয়াউর রহমান এবং তার স্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অশালীন কুরুচি সম্পন্ন ও মানহানিকর কথা বার্তা বলেছেন। এজন্য জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার এবং বাদী ইউনুস শেখের ১০০ কোটি টাকার মানহানী হয়েছে। ক রতোয়া পত্রিকার সম্পাদক এসব মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অশালীন, মৃত ব্যক্তির এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন ইউনুস শেখ।
ইউনুস শেখ সাংবাদিকদের জানান, জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী হিসেবে সেদিন মর্মাহত ব্যথিত হয়েছিলাম। আমি গত ১৬ বছর ধরে আদালতে আশ্রয় খুঁজেছি কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় কিছুই করতে পারিনি। এখন মানুষ বাক স্বাধীনতা পেয়েছে। এজন্য আদালতের বিচারককে বুঝিয়ে বলার চেস্টা করেছি। আদালত আমার কথা শুনে মামলাটি আমলে নিয়েছেন। রাষ্ট্রের কাছে জানতে চেয়েছি জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার ছিল কি না? মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না? স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন কি না? যেহেতু আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আদম সুফি জানান, ইউনুস শেখ এখনো এই ঘটনায় ব্যথিত । আদালত শুনানি শেষে মামলাটি সিআইডিকে তদন্ত দিয়েছেন।
পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু আদালতে সাংবাদিকদের বলেন আমরা গত ১৭ বছর ধরে আদালতে আসতেই পারিনি, আমরা আদালতে সুবিচার পাইনি। আমি মনে করি স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। তাকে যারা কটূক্তি করেছিল আজকে নতুন বাংলাদেশে তাদের বিচারের সুযোগ এসেছে। আমি আশা করি আদালতে ন্যায় বিচার পাবো।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর