
ফরিদপুরে মহাসড়কের বেহাল দশা, যাতায়াতে দুর্ভোগ। জেলা শহর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়ক যেন মরণ ফাঁদ। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকেই এ সড়কে যানচলাচল বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। প্রতিদিন এ সড়কে চলাচল করছে হাজার হাজার যানবাহন, তবুও সড়ক প্রশস্ত না করে জোড়াতালি দিলে চলছিলো কোনোরকম। কিন্তু চলতি সপ্তাহের টানা বর্ষণে নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় শত শত ক্ষত। ফলে ব্যস্ততাপূর্ণ এ সড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রী ও যান চালকরা।
শুক্রবার সড়কের বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শন করে দেখা যায় এমনই এক চিত্র। বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা জানায় তাদের অসহায়ত্বের কথা। সড়কে যত্রতত্র ছোট বড় ক্ষত থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে অনেক যানবাহন। তবে সড়কের এই দৈন্যদশায় দেখা মেলেনি সড়ক বিভাগের কোনো তৎপরতা। আঞ্চলিক মহাসড়কে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে সাধারণ জনগণ। বৃষ্টি হলেই সন্ধ্যার পরে মনে হয় এক ভুতুড়ে মহাসড়ক। কাদামাটি ও খাল খন্দ দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনগণ ও যান চালকরা।
রাজিব মোল্যা নামে এক পরিবহণ চালক বলেন, রাস্তায় গাড়ি চালাবার কায়দা নাই। কয়েকদিনে বৃষ্টিতে যে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে তাতে দুর্ঘটনার ভয় রয়েছে আবার গভীর রাতে ছিনতাইয়ের ভয় ও বেড়েছে। দ্রুত এ রাস্তা সংস্কার করা হোক।
এবিষয়ে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ্ সরদার বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিডি২৪লাইভকে বলেন, এখানে চার লেনের প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সংস্কার কাজ শুরু করতে পারিনি। আপাতত কিছু সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করা করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর