
বেসামাল ডিমের বাজার। সরকারি নির্ধারিত দরের ধারে কাছে নেই বহুল প্রয়োজনীয় এই নিত্যপণ্য। এমন পরিস্থিতিতে নতুন সংকট তৈরি করছেন আড়তদারেরা। হঠাৎ করেই ডিমের বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা।
সম্প্রতি দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা বেঁধে দিয়েছে। এ হিসাবে প্রতিডজন ডিমের দাম হওয়ার কথা ১৪২ টাকা। তবে এ দর সীমাবদ্ধ আছে কেবল কাগজে-কলমেই। চট্টগ্রামের বাজারে প্রতি পিস ডিম কিনতে ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে প্রায় ১৪ টাকা। প্রতিডজন ডিমের দাম পড়ছে ১৬০ টাকার বেশি।
টিসিবির তথ্যানুসারে, গত এক মাসে প্রতিডজন ডিমের দাম বেড়েছে ৬ শতাংশ, যা প্রায় ১৫ টাকা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরবরাহ ঘাটতি দেখিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ডিমের দাম বাড়ানোর কারসাজিতে অন্তত ৩০ জন বৃহৎ পাইকারি ব্যবসায়ী জড়িত। তাদের অধিকাংশই চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি মোকাম পাহাড়তলী বাজারের ডিমের বড় ব্যবসায়ী। তাদের সঙ্গে আছে চট্টগ্রামে ডিম সরবরাহের প্রধান এলাকা টাঙ্গাইলের কিছু ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগী।
পাহাড়তলী ডিম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কর লিটন বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু সরকারের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে সরবরাহকারী মধ্যস্বত্বভোগী ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়তি দামে ডিম সরবরাহ করছে। এজন্য আমরাও বাড়তি দামে ডিম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। কিন্তু এরমধ্যে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে ডিম বিক্রি না করার কারণে আমাদের জরিমানা করা হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই আমরা দোকান বন্ধ রেখেছি।
এদিকে আড়তে ডিম বিক্রি বন্ধ থাকলেও খুচরা বিক্রেতারা এখনো ডিম বিক্রি করছেন। ডিমের দাম ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে গত সেপ্টেম্বরে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর দাম বেঁধে দেয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে খুচরায় ডিম বিক্রি হওয়ার কথা প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। প্রতি পিস ডিমের জন্য ভোক্তাকে গুণতে হচ্ছে ১৫ টাকারও বেশি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর