
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের উত্তর আন্ধারুপাড়া খলচান্দা এলাকার গারো পাহাড়ি এলাকায় একদল বন্য হাতি তাণ্ডব চালিয়ে উঠতি আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাতব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে চৌকিদার টিলা বিজিবি ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের পাহাড়ি গোঁফে তাণ্ডব চালিয়ে আমন ধানের ক্ষেত খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বিরাট দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
সূত্র জানায়, গত কয়েক দিন ধরেই নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ি এলাকার গহিন জঙ্গল থেকে প্রায় ৫০/৬০ টির মতো একটি বন্যহাতির দল আমন ধানক্ষেতে নেমে এসে উঠতি আমন খেয়ে সাবাড় করে আসছিল। সোমবার রাতে খাবারের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসলে কৃষকের সোনার ফসল বাঁচাতে গ্রামবাসীরা খড়কুটা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ও ডাক চিৎকার করে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। তারপরও প্রতিরোধ ভেঙ্গে একদল বন্যহাতি চৌকিদার টিলা বিজিবি ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের পাহাড়ি গোপে তাণ্ডব চালিয়ে আমন ধানের ক্ষেত খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করেছে। এতে পার্শ্ববর্তী খলচান্দা কোচপাড়া গ্রামের জুপতি কোচনীর ২৫ কাঠা, নয়ন কোচের ১০ কাঠা, পজিশন কোচের ৫ কাঠা, জিনমনি কোচনীর ১ একর, দুর্জয় কোচের ১ একর, কানাই কোচের ১০ কাঠা, ত্রিপল কোচের ১৮ কাঠা, বকুল কোচের ১ একর সুর্নিমল কোচের ১ একর ও সুকুমার কোচের ১ একর জমির আমন ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে তছনছ করে দেয়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষানি জুপতি কোচনী কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, বন্যহাতি আমার ২৫ কাঠা জমির ধান খেয়ে সর্বনাশ করে দিয়েছে। আমার ক্ষেতের ধান আর কিছুদিন পরেই কাটতে পারতাম। হাতির দল এসে ক্ষেতের ধান একদম পিষে দিয়েছে। এখন আমরা কী খেয়ে বাঁচবো তা ভেবে পাচ্ছি না।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, গারো পাহাড়ে বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করে আগামী বোরো মৌসুমে তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রণোদনা আওতায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ বনবিভাগের মধুটিলা ফরেষ্টরেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বনবিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেছি। বনবিভাগের নির্ধারিত ফরমে আবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাদেরকে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর