ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রভাষক স্ত্রী ফয়জেন্নুছা লিজা। তিনি আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের ইংরেজির প্রভাষক। 

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে কলেজের অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামাল হোসেন এসময় কলেজের বেশ কয়েজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে প্রভাষক ফয়জুন্নেছা লিজা বলেন, গত ১৬ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘আওয়ামীলীগ নেতার দাপটে তটস্থ শিক্ষকরা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদে শহীদ স্মৃতি কলেজ এবং আমার স্বামী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি শেখ মো. সোহেল রানাকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা হয়। 

সাবেক আইনমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে আমার স্বামী আমাকে কলেজে নিয়োগ দিয়েছে বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়। তথ্যটি সঠিক নয়। ২০১১ সালে বিধি মোতাবেক আমার নিয়োগ হয়। আনিসুল হক মন্ত্রী হয় ২০১৪ সালে। আমি শিক্ষকদের ভোটে কলেজের টিআর হয়েছিলাম। আমার স্বামী কলেজের আভ্যন্তরীন কোন বিষয়ে প্রভাব খাটায়নি এবং শিক্ষকদের সাথেও কোন খারাপ আচরণ করেননি। আমার স্বামী একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার। সরকারি বিধি মোতাবেক তিনি কাজ করেছেন। আমি ও আমার স্বামীর সামাজিক মান মর্যাদা ক্ষুন্ন করার জন্য কতিপয় শিক্ষকের যোগসাজশে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে। ফয়জুন্নেছা লিজা আরও বলেন, মিথ্যা মামলায় আমার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। 

এসময় প্রভাষক ফারুক আহমেদ বলেন, শেখ সোহেল রানা কলেজে কোন অবৈধ প্রভাব বিস্তার করেননি। শিক্ষকদের সাথেও কোন খারাপ আচরণ করেননি। তিনি একজন ঠিকাদার। তিনি কলেজের উন্নয়ন কাজ এবং কলেজ জাতীয়করণের জন্য আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। 

প্রভাষক মাহবুবু হোসেন বলেন, শেখ সোহেল রানা আমাদের সাবেক ছাত্র। ছাত্র হিসেবে আমাদেরকে শ্রদ্ধা করতো। আমাদের সাথে তার কোন আর্থিক লেনদেন ছিল না। অনৈতিক সুবিধা নেওয়া বা পেশি শক্তি প্রদর্শন করতো না। সংবাদ সম্মেলন শেষে কলেজের ২৮জন শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ২২ জন শিক্ষক—কর্মচারী স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদ পত্র সাংবাদিকদেরকে দেওয়া হয়। প্রতিবাদ পত্রে কলেজকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয়।

মুনতাসির/সাএ