
অবশেষে দীর্ঘ ১৭ বছরের শিরোপা খরা কাটাল টটেনহ্যাম হটস্পার। স্যান মামেস স্টেডিয়ামে ইউরোপা লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ট্রফির খাতা ১৭ বছর পর খুললো লন্ডনের ক্লাবটি।
বুধবার (২১ মে) রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে জয়ের পর, প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ দল হিসেবে জায়গাও পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।
প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার ১৬ ও ১৭ নম্বর দলের লড়াইয়ে প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন ব্রেনান জনসন।
১৭ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর পাশাপাশি ৪১ বছর পর কোনো ইউরোপিয়ান ট্রফি জিতল টটেনহ্যাম। একই সঙ্গে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাও নিশ্চিত করল এনজ পোস্টেকোগ্লুর দল।
এই সাফল্যের আগে টটেনহ্যাম সবশেষ কোনো শিরোপা জিতেছিল ২০০৭-০৮ মৌসুমে, লিগ কাপ। আর সবশেষ ইউরোপিয়ান ট্রফি জিতেছিল ইউরোপা লিগেই, ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে। তখন অবশ্য প্রতিযোগিতাটির নাম ছিল উয়েফা কাপ।
এবার প্রিমিয়ার লিগে ভালো করতে না পারলেও, ইউরোপা লিগে শুরু থেকে ভীষণ ধারাবাহিক ছিল ইউনাইটেড। গোটা আসরে অপরাজিত থেকে তারা পা রেখেছিল ফাইনালে। কিন্তু এখানে আর পারল না হুবেন আমুরির দল। শিরোপাহীন মৌসুমও তাদের নিশ্চিত হয়ে গেল। আগামী মৌসুমে তাদের দেখা যাবে না কোনো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায়।
শিরোপা লড়াইয়ে শুরু থেকে দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও, পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কেউ। কোনো গোলরক্ষককেও দিতে হচ্ছিল না সত্যিকারের পরীক্ষা।
প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম। বাঁ দিক থেকে পাপে সারের ক্রসে ছয় গজ বক্সে ব্রেনান জনসনের পা ছুঁয়ে বল ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লুক শর গায়ে লেগে যখন জালের দিকে যাচ্ছিল, দূরের পোস্টে আরেকবার পা ছুঁয়ে জালে পাঠান জনসন। ঝাঁপিয়ে পড়েও দলকে বাঁচাতে পারেননি গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা।
৫৮তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায় ইউনাইটেড। ব্রুনো ফের্নান্দেসের ক্রসে লেনি ইয়োরোর প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন টটেনহ্যাম গোলরক্ষক গুইলেলমো ভিকারিও। পাঁচ মিনিট পর টটেনহ্যামের ডমিনিক সোলাঙ্কি ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেলেও বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তিনি।
৬৮তম মিনিটে ইউনাইটেড গোল পেয়েই যাচ্ছিল প্রায়। মাঝমাঠ থেকে ফের্নান্দেসের ফ্রি-কিক এগিয়ে এসে ক্লিয়ারের চেষ্টায় পারেননি গোলরক্ষক, গাসমুস হয়লুনের হেড জড়াতে যাচ্ছিল জালে, কিন্তু গোললাইনে অনেকটা লাফিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে পা দিয়ে বল ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার মিকি ফন দে ফেন।
৭২তম মিনিটে সতীর্থের ক্রসে বক্সে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ফের্নান্দেস। দুই মিনিট পর আলেহান্দ্রো গার্নাচোর নিচু শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন ভিকারিও। যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে লুক শর হেডও ঠেকিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি।
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর