
একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন করে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন কাজের কথা বলে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এতে রীতিমতো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
গত ৭ নভেম্বর তামান্না তাসনীম কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে যোগদানের পর থেকে একটি মহল প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে বাঁধা সৃষ্টি করতে পরিকল্পিত ভাবে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি নজরে আসলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জনসচেতনতা মূলক একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে উপজেলা প্রশাসনের। এতে বলা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কাপাসিয়ার নামে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট ০১৭০৭৪১১৭৩০ নম্বরে কিংবা একাধিক মোবাইল নম্বর থেকে বিভিন্ন কাজের বিনিময়ে টাকা চাওয়া হচ্ছে। যাহা আদৌ সঠিক না। এটি একটি প্রতারক চক্রের কাজ। এর সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোটেও জড়িত না। উপজেলার সর্ব সাধারণকে এ বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন করে তাদের কথায় কোন রকম অর্থনৈতিক লেনদেন না করে এদের আইনের নিকট সোপর্দ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ল্ডের সদস্য মো. রফিক উদ্দিন লিটন বলেন, কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কথা বলে একটি অপরিচিত নাম্বারে আমার ওয়ার্ডের নামিলা গ্রামের হুমায়নের কাছ থেকে ৪৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আরেকজন মুক্তিযোদ্ধার নূরুল ইসলামের কাছে মোটা টাকা দাবি করেছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না তাসনীম জানান, কেউ বিভ্রান্ত না হয়ে সবাইকে সাবধান থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কে (ওসি) অবহিত করা হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নামে কে বা কারা একটি মোবাইল নম্বর থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট টাকা দাবি করে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনীম বিষয়টি আমাকে মৌখিক ভাবে জানায়।
পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে ওই প্রতারক চক্রটি লাঙ্গলকোট এলাকার বাসিন্দা। তাদের লাস্ট লোকেশন ও লাঙ্গলকোট এবং জাতীয় পরিচয় পত্রও ওখানের বলে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর