
আশরাফ হোসেন চৌধুরী তুষার। ফেনীতে ছাত্রদলের রাজনীতিতে একাধিক ভাইয়ের সৈনিক। নিজের ফেসবুকে কখনো ভিপি জয়নাল স্যারের সৈনিক আবার কখনও নাসির খন্দকারের সৈনিক দাবি করা কিশোর গ্যাং এর দুর্ধর্ষ এক ক্যাডার। নিজ ওয়ার্ডে তুষারের চাঁদাবাজি, ইভটিজিং এবং ক্ষমতার দাপটে মানুষ ভয়ে কাবু।
তুষারের বন্ধু মাইনউদ্দিন সোহাগের ছেলে আহনাফ নাশিতকে ৪ দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বন্ধুর ছেলেকে (আহনাফ) খুঁজে বের করতে নিয়মিত সরব ছিলেন তুষার। কিন্তু নিখোঁজ আহনাফ তুষারের হেফাজতেই ছিল ৪ দিন। তুষারের নিয়ন্ত্রিত চক্র তার বাবার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন মুক্তিপণ হিসেবে।
সেই মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু আহনাফকে মেরে ফেনী পৌরসভার দেওয়ানগঞ্জে স্কুল ব্যাগসহ পানিতে ভাসিয়ে দেয় তুষার গংসহ অপহরণকারীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনী শহরতলি দেওয়ানগঞ্জ এলাকার একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু আহনাফ ফেনী একাডেমি এলাকার বাসিন্দা মাইনউদ্দিন সোহাগের ছেলে। সে ফেনী গ্রামার স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
জানা গেছে, আহনাফ নাশিত গত ৮ ডিসেম্বর সহপাঠীদের সাথে ফেনীর একাডেমি আতিকুল আলম সড়কে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট শেষে সে আর বাসায় ফিরে আসেনি। নিখোঁজের পর থেকে নাশিতের বাবা মাইনউদ্দিন সোহাগের কাছে একটি নম্বর থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
এ ঘটনায় মাইনউদ্দিন অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্ত একজনকে পুলিশ আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ দুপুরে ফেনীর দেওয়ানগঞ্জ থেকে নাশিতের লাশ উদ্ধার করা হয়ে।
এ সময় নিখোঁজ আহনাফ নাশিতের বাবা মাইনউদ্দিন সোহাগ লাশটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন।
পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, অপহরণ মামলা দায়েরের ৮ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত মূল হোতাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর