
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের গাড়ি বহরে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের টেঙ্গুরিপাড়া গ্রামবাসী নিজ এলাকায় রোববার (১২ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টেঙ্গুরিপাড়াবাসীর পক্ষে আনন্দ মোহন সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসান।
তিনি বলেন, গত ৬ জানুয়ারি সোমবার টেঙ্গুরিপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের গাড়ি বহরে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি প্রাইভেটকার, ৭/৮টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর ও সংঘর্ষে ১০-১৫জন আহত হন। এ ঘটনায় টেঙ্গুরিপাড়াবাসীকে দায়ী করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে এ গ্রামের শুধুমাত্র ৩জন জড়িত।
এ হামলা-ভাংচুরের সঙ্গে এই গ্রামের আর কেহ জড়িত হন। বক্তব্য রাখেন সিধলা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. দুদু মিয়া,সাবেক ইউপি সদস্য মো. কাজিম উদ্দিন,টেঙ্গুরিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সোহান মিয়া,নিজাম উদ্দিন মন্ডল, মো. দেলোয়ার হোসেন দাদুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টেঙ্গুরিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. জালাল উদ্দিন মন্ডল, মো. মজিবুর মিয়া, মো. নুরু মিয়া, মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার, আবুল কাশেম মন্ডল, আরশাদুল হক,মো. মিজান মন্ডল, মো. আহের উদ্দিন প্রমুখ।
অপরদিকে হিরণ গ্রুপের নেতাকর্মীদের হামলা বিষয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ গৌরীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ইঞ্জিনিয়ার ইকবালকে বয়কটের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এরপরে তিনি (ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল) আকিকার দাওয়াতে যাওয়ায় গ্রামবাসীর সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আমার বা আমার সমর্থক নেতাকর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এদিকে টেঙ্গুরিপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের গাড়ি বহরে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) উপজেলা ও পৌর বিএনপি-অঙ্গসহযোগী সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান সুলতান বরেন,গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) যুবদল নেতার সন্তানের আকিকা অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ গ্রুপের নেতাকর্মী হামলা করেছে। শুধু তাই নয়; এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই রাতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল বের করলে সেখানেও হামলা করা হয়।অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের পাইস্কা গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের পুত্র মো. সেলিম বাদী হয়ে ২৯জনের নাম ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামে যুবদল নেতা সুজাত মিয়ার বাড়িতে ছেলের আকিকা অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে টেঙ্গুরিপাড়া এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের গাড়ি বহরে হামলা-ভাংচুরে ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রফিক (৩৫), নুরুজ্জামান (৩৫),শাহজাহান (৩২), মুন (২৮), বাবুল মিয়া (৪৫), সাইদুর রহমান (৪৩), সবুজ মিয়া (৩২), ওয়াসিম রাজিব (২৭), তোতা মিয়া (২৮), নজরুল ইসলাম (৩৭), সাকিবুল ইসলাম শহিদ (৩২), অন্তর সরকার (২২), আব্দুল হামিদ (৩৪), আব্দুল হাই (৩২), ফয়সাল মিয়া (২৫), রাসেল মিয়া (২৫), সেলিম মিয়া (২৪), আল আমিন (২৭), আমিরুল ইসলাম (২৮), রায়হান উদ্দিন (২৬), রাকিব মিয়া (২২), আব্দুল কাদির (২২), কামরুল ইসলাম (২৬), পিয়াস মিয়া (২৪), এরশাদুল হক (২৮), ছোটন মিয়া (২৫), পারভেজ মিয়া (২৬), আবু হুবায়রা (২৭), আসাদুজ্জামান ডানু (৪০)। এছাড়াও মামলায় ১৫/২০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মির্জা মাযহারুল আনোয়ার বলেন,মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর