
সাতক্ষীরা তালার ইউএনও শেখ মোঃ রাসেল হাটবাজারের ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রদানের নিমিত্তে উপজেলার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে দুটি পত্রিকাকে সিলেকশন করেছেন।
গতরবিবার বিকেলে ইউএনওর অফিসে লটারির মাধ্যমে বিজ্ঞাপন সিলেকশন করা হয়। আওয়ামী লীগপন্থি ও আওয়ামী লীগ মালিকানা এমন কোনো মিডিয়াকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবেনা বলে জানান ইউএনও। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় সৃষ্টি হলে কা ল বে লা র প্রতিনিধি শাহিনুর রহমান ইউএনওর রুম থেকে চলে যান।
এঘটনায় সকালে কা ল বে লা র অনলাইনে সাংবাদিককে হেনস্তা করার অভিযোগ শিরোনামে তালার ইউএনওকে জড়িয়ে নিউজ প্রকাশ হওয়ায় সাংবাদিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং উত্তেজনা বিরাজ করে। স্থানীয় সাংবাদিক সহ নেটিজেনরা নিজ ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
নিউজটিতে দু'জন সংবাদকর্মীর নামে বক্তব্য দিলেও তারা কোন বক্তব্য দেননি বলে নিজ ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
তালার সংবাদকর্মী সেলিম হয়দার নিজ ফেসবুকে লিখেছেন, কালবেলা পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালে ইউএনও এর বিরুদ্ধে সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। একটি অংশে স্থানীয় সাংবাদিক সেলিম হায়দারের যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে সেটা আমার বিবৃতি নয়। প্রকৃত পক্ষে তালা হাট-বাজারের বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছ থেকে তালিকা নেওয়া হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী গতকাল রোববার সন্ধায় উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে পত্রিকায় নির্ধারণ করা হয়। সেখানে আমি সহ স্থানীয় সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।
সংবাদকর্মী এম এ ফয়সাল লিখেছেন, তালা ইউএনও অফিসে বিজ্ঞাপন বণ্টনে সাংবাদিকদের মাঝে উত্তেজনা বিষয়ে কেউ আমার নাম ব্যবহার করলে তা অপসারণের অনুরোধ জানাচ্ছি। কারণ আমি সাক্ষাৎকার দেয়নি।
সাংবাদিক জুলফিকার রায়হান লিখেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি গাছ চুরি এবং চাঁদাবাজিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে, ছিলেন চরমপন্থি দলের ক্যাডার। তালার তথাকথিত সাংবাদিক কে.এম. শাহিনুর রহমানকে অবশেষে তালার কর্তব্যরত সাংবাদিকরা গণধোলাই দিয়েছেন। সে একসময় আমার এবং আমার কয়েকজন ব্যাবসায়িক পার্টনারের কাছ থেকে চাঁদা নেবার চেষ্টা করেছিল।
মেহেদী হাসান সাগর নামে সাবেক ছাত্রদল নেতে লিখেছেন,তালায় সাংবাদিক নামধারী এক চাঁদাবাজ
চাঁদাবাজি করতে ব্যর্থ হয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ করেছে,
এহেন মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাই।
সাথে সাথে যে ইউএনও মহোদয়ের সুনাম নষ্ট করেছে
তার শাস্তি দাবি করেছেন তালা উপজেলার সাধারণ মানুষ।
তালা উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা তাওহিদুর রহমান বলেন, তালা উপজেলার বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল অত্যন্ত ভালো মানুষ, তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠায় আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি, ইউএনও সাহেবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তালার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেল জানান, কোনো সাংবাদিকের ওপর ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে কিছু করা হয়নি। আমার কক্ষে যেটি হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। তবে আমাকে জড়িয়ে একটি অনলাইনে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর