
চট্টগ্রাম নগরে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসন বিরোধী মিছিল থেকে পিৎজা হাট, পুমা শোরুমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগে দুইদিনে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ এবং একজন যুবলীগের কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখা থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় নগরের চকবাজার, কোতোয়ালী, খুলশী ও পাঁচলাইশ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যায় আনুমানিক ৬০০-৭০০ জনের একটি মিছিল নগরীর জামালখান থেকে চকবাজারের দিকে যাওয়ার পথে কলেজ রোডসহ আশপাশের এলাকায় কয়েকটি রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর চালায়। মিছিলকারীরা রেস্তোরাঁ থেকে কোকাকোলা ও পেপসির বোতল বের করে রাস্তায় প্রকাশ্যে ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় চকবাজার থানা পুলিশ ১৭ বছরের এক কিশোরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছে। ওইদিন নগরীর চকবাজার, কাজীর দেউড়ি, জিইসি মোড়, দুই নম্বর গেইটসহ বিভিন্ন এলাকায় কোকা কোলা ও পেপসির সাইনবোর্ডে ভাঙচুর করা হয়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে নগরীর খুলশী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার চারজন হলেন- খাইরুল নুর ইসলাম (২৭), মো. তামজিদ (২০), মো. ইব্রাহিম (২৬) ও মো. ইলিয়াস (৪৮)।
পুলিশ জানায়, খাইরুল, তামজিদ ও ইব্রাহিম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। খাইরুল ও ইব্রাহিমের বাসা নগরীর লালখান বাজার এলাকায়। ইব্রাহিমের বাসা ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায়। আর পশ্চিম খুলশী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াস যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
একই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালী থানার পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন-জাহেদ হোসেন অপু (২৮), গোবিন্দ দত্ত (২৫) ও আব্দুল্লাহ আল মারুফ (২১)। এরমধ্যে আবদুল্লাহ আল মারুফ জহুর হকার্স মার্কেটের একটি দোকানের কর্মচারী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া খুলশী থানার পুলিশ এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে। তবে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার নেই।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর