• ঢাকা
  • ঢাকা, শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ১ মিনিট পূর্বে
প্রচ্ছদ / জাতীয় / বিস্তারিত
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ০২ মে, ২০২৫, ০২:৩২ দুপুর

সাত মাসেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের ভাগ্য: প্রেস সচিব

ফাইল ফটো

বাংলাদেশ কি নতুন এক শিল্পবিপ্লবের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে? এমন সম্ভাবনার ইঙ্গিতই মিলছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে দেওয়া ওই পোস্টে শফিকুল জানান, তিনি আলোচনায় বসেছিলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরীর সঙ্গে। আহসান খান সম্প্রতি তাইওয়ান সফর শেষে দেশে ফিরে এসেছেন এবং জানিয়েছেন, প্রাণ-আরএফএল এখন একাধিক চীনা কম্পানির সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনায় আছে। বিশ্ববাণিজ্যের চেহারা বদলাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির কারণে উৎপাদন এখন পূর্ব এশিয়া থেকে সরছে দক্ষিণ এশিয়ার দিকে। সেই জায়গায় বাংলাদেশও উঠে আসার সুযোগ পেয়েছে।

 প্রাণ-আরএফএল এখন আর নতুন জমিতে ফ্যাক্টরি করছে না। তারা পুরনো ও অব্যবহৃত সরকারি-বেসরকারি কারখানা নিয়ে সেগুলো রূপান্তর করছে আধুনিক রপ্তানিমুখী প্লান্টে।

রংপুরের পুরনো তামাক কারখানা এখন জুতা তৈরির প্লান্ট, রাজশাহীর পুরনো পাটকল এখন রপ্তানি ইউনিটে রূপান্তরিত।

এই ধরনের উদ্যোগ এখন আরো বিস্তৃত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আহসান খান বলেন, ‘বিশ্ববাজারে পরিবর্তনের যে সুযোগ এসেছে, সেটা অনেক বড়। দরকার শুধু একটা অনুকূল পরিবেশ, যেখানে উৎপাদন আর রপ্তানি ঠিকভাবে চালানো যাবে।’

শফিকুল আলম লিখেছেন, এখনকার নিউইয়র্ক টাইমস, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস বা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দেখলেই বোঝা যায়, ব্রেটন উডস বা ডব্লিউটিওর ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা পুরনো বাণিজ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। এই ব্যবস্থায় চীন, ভিয়েতনাম, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর সবাই রপ্তানি দিয়ে ধনী হয়েছে। অথচ দক্ষিণ এশিয়া পিছিয়ে থেকেছে। এখন নতুন সুযোগ এসেছে। বাংলাদেশ সেই সুযোগ নিতে পারবে কি না, এটাই বড় প্রশ্ন।

রাজনীতি এখানে বড় ভূমিকা রাখবে। ইতিবাচক দিক হলো, এখন দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ব্যবসাবান্ধব মানসিকতা দেখাচ্ছে। তবে শফিকুল আলম মনে করেন, বড় চ্যালেঞ্জটা হবে পণ্য পরিবহন আর সরবরাহব্যবস্থায়। যদি আমরা দ্রুত রপ্তানি করতে না পারি, তাহলে এই সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে বড় পরিকল্পনা

সরকার এই বিষয়টা গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে বছরে ৭.৮৬ মিলিয়ন কনটেইনার সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। এই প্রকল্পে আন্তর্জাতিক মানের কোনো কম্পানিকে যুক্ত করার পরিকল্পনাও আছে।এটা সফল হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যজগতে পরিষ্কার বার্তা যাবে, বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত, বিনিয়োগের জন্য খোলা।

সামনের ছয়-সাত মাসই টার্নিং পয়েন্ট

শফিকুল আলম লিখেছেন, এই ছয়-সাত মাসই নির্ধারণ করে দেবে, বাংলাদেশ সত্যি কি পারবে রপ্তানিনির্ভর শিল্পশক্তি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে? আমাদের সামনে বড় একটা সুযোগ এসেছে। এখন দেখার বিষয়, আমরা কি সেটা কাজে লাগাতে পারব?

 

রার/সা.এ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com