
জাতীয় জরুরি পরিষেবা ৯৯৯-এর নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা প্রদানের পথে অপ্রয়োজনীয় কল অন্যতম বাধা, যা জনসাধারণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আট বছরে, পরিষেবা চাওয়া প্রায় ৫৭ শতাংশ কল অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। এর ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং জরুরি পরিষেবা চাওয়া অনেক মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা রুহুল আমিন। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ তার আস্থার জায়গা। গত দুই বছরে ৫ থেকে ৬ বার সেবা নিয়েছেন তিনি। এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে, আগুন নেভাতে, চুরির ঘটনা জানাতে এমনকি অ্যাম্বুলেন্স সেবাও নিয়েছেন। প্রতিবারই পাশে পেয়েছেন সেবাদানকারীদের।
রুহুল আমিনের মতো প্রতিদিন ট্রিপল নাইনে ২৪ হাজার ফোন আসে দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে। আট বছরে এ সেবা মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন নগরবাসী। তবে পুলিশি সেবা দ্রুত না পাওয়ার অভিযোগ করে মান আরও বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন কেউ কেউ।
তবে সেবার মান বাড়াতে জাতীয় জরুরি সেবার অন্যতম বাঁধা অপ্রয়োজনীয় কল। আট বছরে ৬ কোটি ১৬ লাখের বেশি ফোন কলের মধ্যে ৩ কোটি ৪৭ লাখ কলই অপ্রয়োজনীয়। যা মোট কলের প্রায় ৫৭ শতাংশ। পুলিশি সেবার পাশাপাশি আগুন লাগার ক্ষেত্রেও আসছে ভুল কল।
এদিকে ৯৯৯-এ যুক্ত হওয়া নতুন সেবা ইংরেজি ভাষায় কল। সেটিতেও আসছে অপ্রয়োজনীয় ফোন। এতে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন বিদেশি সেবাপ্রত্যাশীরা।
অপ্রয়োজনে ফোন না করে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় জরুরি সেবার প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মহিউল ইসলাম বলেন, বিরক্তিকর কলারদের ব্লক করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ৯৯৯ এ ফোনের পর পুলিশি সেবা না পাওয়া বিষয়গুলোও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, টেলিযোগযোগ আইনে অপ্রয়োজনীয় কলারদের সাজার বিধান রয়েছে। বিরক্তির মাত্রা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর