
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় সাগরতীর থেকে নারী ও শিশুসহ ৩৫ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে র্যাব। তারা নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে পতেঙ্গায় আসে বলে জানিয়েছে র্যাব। শনিবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর পতেঙ্গা থানার খেজুরতলা বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, আটককৃতদের মধ্যে ১৯ জনই শিশু। গত শুক্রবার রাতে (২ মে) তারা ভাসানচর ক্যাম্প থেকে অবৈধভাবে পালিয়ে এসে চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকায় অবস্থান নেন তারা। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে এবং পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করে।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ. আর. এম. মোজাফফর হোসেন জানান, আটক ব্যক্তিরা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। তারা চট্টগ্রাম শহরে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটক এক রোহিঙ্গা পুরুষ জানান, মাথাপিছু দুই হাজার টাকা নিয়ে ভাসানচরের স্থানীয় দুই দালাল তাদের ক্যাম্প থেকে বের করে আনে। রাত ১টার দিকে একটি নৌকায় তুলে তারা চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে। ভোরে পতেঙ্গায় পৌঁছার পর দালালরা সেখানেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তাদের কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।
তাঁদের অনেকেই বলেন, তারা আর ভাসানচরে ফিরে যাবেন না। উখিয়া তাদের জন্য সুবিধাজনক স্থান।
২০১৭ সালে মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছে। এদের প্রত্যাবাসন আটকে থাকায় সেখানে নানা সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু করে সরকার।
১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়। ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে দফায় দফায় রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ভাসানচরে পাঠানোর পর রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সময়ে সেখান থেকে পালানো এবং আটকের খবর এসেছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর