
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বাকীতে ২২টা ভেড়া নিয়ে প্রায় ৪ বছর পূর্বে খামার করেন রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান।
কিন্তু দীর্ঘ চার বছর পেরিয়ে গেলেও ভেড়ার মালিক গ্রাম পুলিশ আলম ফকিরকে ভেড়ার নির্ধারিত মূল্য ৯৫ হাজার টাকা না দিয়ে ঘুরাচ্ছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আলম ফকির গত শনিবার (৩মে) বিকেলে সলঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আলম ফকির (৩৫), উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ ও কয়ড়া হোরপাড়া গ্রামের আলী ফকিরের ছেলে।
অভিযোগপত্র ও থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ বছর পূর্বে ২২ টা গৃহ পালিত ভেড়া আলম ফকিরের নিকট থেকে বাকীতে ক্রয় করে নেন রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মৃত খন্দকার মোকবুল হোসেনের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক খন্দকার তৌহিদুর রহমান। ২২টা ভেড়ার বাজার মূল্য প্রায় ৯৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করে নেন।
দীর্ঘ ৪ বছর ভেড়ার নির্ধারিত মূল্য ৯৫ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য তারা সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তিনি টাকা দেন নি। একাধিক বার তার বাড়িতে যাই ও বেশ কয়েক বার সালিশি বৈঠকও হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে তৌহিদুর রহমানের বসত বাড়িতে গিয়ে আলম ফকির ভেড়া বিক্রয়ের বকেয়া টাকা চাইলে খন্দকার তৌহিদুর রহমান গালিগালাজ করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী গ্রাম পুলিশ আলম ফকির বলেন, আমি পেশায় এক জন গ্রাম পুলিশ হিসাবে কর্মরত আছি। আমার নিজ বাড়িতে ভেড়া খামার আছে। প্রায় ৪ বছর পূর্বে বিএনপি নেতা খন্দকার তৌহিদুর রহমান খামার করার জন্য আমার কাছ থকে ২২টা ভেড়া ৯৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করে বাকিতে নেন। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আমার ভেড়ার মূল্য পরিশোধ করেন নি।
একাধিক বার সালিশি বৈঠক করেও তিনি আমার টাকা দেন নি। তৌহিদুর রহমান বিএনপির নেতা হওয়ার কারণে আমার ভেড়া বিক্রয়ের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করে উল্লাপাড়ার বিভিন্ন নেতার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এখন টাকা চাইল উলটো আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন এবং আমার চাকুরি খেয়ে ফেলবে বলে হুমকি দেন। আমি গরিব মানুষ আমি চাই আমার ভেড়ার নির্ধারিত মূল্য আমাকে দেওয়া হোক।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক খোন্দকার তৌহিদুর রহমান মুঠোফোনে জানান, প্রায় ৫ থেকে ৭ বছর পূর্বে আমি ভেড়ার খামার করি একাধিক বার গ্রাম পুলিশের কাছ থেকে ভেড়া নিয়ে লালন পালন করি। পরে ভারতের একটি জাতের ভেড়া আমাকে দিয়ে চিটারি করে আলম ফকির। সেটা ভালো না হওয়ায় তার কাছে আমি ভেড়া বিক্রি করে দেই।
আমার ভেড়া নিয়ে গিয়ে আমাকে টাকা দেয় নাই। আওয়ামী লীগের সময় এমন দাবি করেছে কয়েকবার। এটি মিথ্যা সে আমার কাছে কোনো টাকা পায় না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ফেসবুক লাইভ করেছে গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি। ঢাকায় গিয়ে আইসিটি মামলা করবো গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে।
সলঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মনোহার রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন,উল্লাপাড়ার কয়ড়া ইউনিয়নের এক গ্রাম পুলিশ থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর